দুদিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু ছেয়ে যাবে সারা ভারতের আকাশে, দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বভাস
আর মাত্র দু-দিনের অপেক্ষা, তারপরই দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমী বায়ু আর গোটা ভারতের আকাছে ছেয়ে যাবে। বিশেষ করে দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের আকাশে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বর্ষা শুরু হবে।
আর মাত্র দু-দিনের অপেক্ষা, তারপরই দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমী বায়ু আর গোটা ভারতের আকাছে ছেয়ে যাবে। বিশেষ করে দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের আকাশে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বর্ষা শুরু হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বজ্র-বিদ্যুৎসহ ঝড়ের সম্ভাবনা থাসছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যেই বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, পূর্ব রাজস্থান, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে বজ্র বিদ্যুত-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে, এমন ঘোষণা এখনও করা হয়নি। এই বৃষ্টিকে প্রাক মৌসুমী বায়ুর বৃষ্টি বলা হচ্ছে। আবহাওয়া হফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গুজরাত, রাজস্থানের কিছু অংশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ডের বাকি অংশ, পুরো মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব উত্তর প্রদেশ, পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কিছু অংশ, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীরের পুরো অংশ এবং পঞ্জাবের কিছু অংশে অগ্রসর হয়েছে।
এদিকে সোমবার থেকে মুম্বইয়ে মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় শহরের বেশ কিছু জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। প্রাণহানি এবং সম্পত্তিরও ক্ষতি হয়েছে। এবছরে প্রথমবার সান্তাক্রুজে রেকর্ড ২৩১.৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।কলকাতাতেও প্রবল বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আগামী দুদিনে উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন ৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডিএস পাই জানিয়েছেন, এবার মৌসুমী বায়ু ভারতের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশে তাড়াতাড়ি প্রবেশ করলেও, তা রুদ্ধ ছিল গত সপ্তাহভর। ফলে সারা দেশে তা ছড়িয়ে পড়েনি। পশ্চিমবঙ্গেও এবার অন্যথা ঘটেছে। উত্তরবঙ্গে সবার আগে মৌসুমীবায়ু প্রবেশ করে।
এবার প্রথা ভেঙে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে। সারা দেশেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দক্ষিণাংশে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে আগে। দেশের উত্তরাংশ ব্রাত্য থেকে যায়। তবে বর্তমান সপ্তাহে মৌসুমী বায়ু ফের সক্রিয় হয়েছে। ফলে আগামী দুদিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু ভারতের আকাশ বিরাশ করবে।
সারা দেশে আবহাওয়া দফতরের চারটি ভাগের মধ্যে একমাত্র দক্ষিণের উপদ্বীপেই ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব-উত্তরপূর্ব এবং উত্তর পশ্চিম ভারতে যথাক্রমে ২৯ ও ২৪ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।