ডেরেকের টুইট দেশবাসীর জন্য অপমানজনক বললেন মোদী
ডেরেকের টুইট দেশবাসীর জন্য অপমানজনক বললেন মোদী
পেগাসাস ও অন্য অনেকগুলি ইস্যু নিয়ে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন বেশ কয়েকবার মুলতুবি করিয়েছে বিরোধীরা। আর সেটাতেই রুষ্ঠ হয়ে সংসদে বেশি আলোচনা ছাড়ায় পরপর বিল পাশ করিয়েছে মোদী সরকার৷ সম্প্রতি এটি নিয়েই ব্যঙ্গাত্মক টুইট করেন ডেরেক ও ব্রায়ান। তৃণমূল এমপির টুইট অপমানজনক বলে কাছের নেতাদের জানিয়েছেন মোদী।
কী টুইট করেছেন ডেরেক?
টুইটে ডেরেক লেখেন, বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম ১০ দিনে, মোদী-শাহ বিল পাশ করাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। মাত্র ৭ মিনিট করে সময় দিয়ে প্রায় ১২টি বিল পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। আইন পাস করা বা পাপরি চাট বানানোর মধ্যে কোনও পার্থক্য রাখছে না মোদী সরকার ! এই লেখার সঙ্গে একটি পাঁপড়ি চাটের ছবিও পোস্ট করেছিলেন ডেরেক।
ডেরেকের টুইট নিয়ে কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি?
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাঁপড়ি চাটের সঙ্গে বিল পাশ করানোর তুলার নিন্দা করেছেন৷ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের মন্তব্য দেশবাসীর জন্য অপমানজনক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ তিনি আরও বলেন সংসদে কাগজ ছিঁড়ে ফেলা, সেগুলো ছুঁড়ে ফেলা এবং ক্ষমা না চাওয়া তৃণমূল নেতাদের ঔদ্ধত্যের পরিচয় বলে জানিয়েছেন যোশি।
কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলিধরণ?
এদিন
সাংবাদিকের
মুখোমুখি
হয়ে
সংসদীয়
দলের
বৈঠকের
বিষয়ে
বিস্তারিত
জানিয়ে
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
ভি
মুরালিধরন
বলেন,
'প্রধানমন্ত্রী
খুশির
খবর
দিয়ে
বৈঠক
শুরু
করেছিলেন৷
তিনি
জানিয়েছেন
জুলাই
মাসে
আমাদের
মোট
১.৬
লক্ষ
কোটি
রুপি
জিএসটি
সংগ্রহিত
হয়েছে।
টোকিও
অলিম্পিকের
খবর,
পিভি
সিন্ধুর
ব্রোঞ্জ
জয়
এবং
কৃতিত্বের
ও
হকি
দলের
সাফল্যের
খবর
জুলাই
মাসেই
এসেছে।'
এরপর
প্রধানমন্ত্রী
বলেন
সংসদে
দাঁড়িয়ে
একজন
তৃণমূল
সাংসদ
কাগজ
ছিনিয়ে
নিয়ে
ছিঁড়ে
ফেলেছিল
সে
তার
কৃতকর্মের
জন্য
অনুতপ্ত
নয়।
বিল
পাসের
বিষয়ে
একজন
সিনিয়র
এমপি
যে
মন্তব্য
করেছেন
তা
নিন্দনীয়।'
বারবার মুলতুবি সংসদ!
প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহেই সংসদের উভয় কক্ষই পেগাসাস স্পাইং এবং খামার আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিরোধীরা বারবার স্লোগান দিতে থাকে, যার ফলে সংসদ বারবার মুলতবি হয়।