আগরতলায় প্রথম ফ্লাইওভারের উদ্বোধন! গরহাজির রাজ্যের মন্ত্রীরা
আগরতলায় প্রথম ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গরহাজির রাজ্যের মন্ত্রীরা। চারবছর আগে তৎকালীন বাম সরকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল।
আগরতলায় প্রথম ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গরহাজির রাজ্যের মন্ত্রীরা। চারবছর আগে তৎকালীন বাম সরকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল। শুক্রবার শিশুরাই এই ফ্লাইওভার উদ্বোধন করে। ২.৩ কিমি দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। শহরের বটতলা হয়ে এই ফ্লাইওভার ফারায় ব্রিগেড চৌমুহনি থেকে অরুন্ধতি নগর ড্রপ গেট পর্যন্ত গিয়েছে।
শুক্রবার রাজ্যের প্রথম ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোনও মন্ত্রী, এমন কী বিজেপির কোনও জনপ্রতিনিধিকেও থাকতে দেখা যায়নি।
ফ্লাইওভারের কাজ বেশ কিছুদিন আগে শেষ হয়ে গেলেও, রাজ্যের বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ম না মেনে ফ্লাইওভার তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। তোলা হয়েছিল আরও অভিযোগ। অভিযোগ আনা হয়েছিল পিডব্লুডির চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিক, সোমেশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তোলা হয়েছিল নির্মাণকারী দুই সংস্থা ভিকেএস ইনফ্রাটেক ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং হায়দরাবাদের নাগার্জুন কনস্ট্রাকশন কম্পানির বিরুদ্ধে। আর এই প্রকল্প নিয়ে প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীকে ভিজিল্যান্স দফতর একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করে।
যদিও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রতন চৌধুরী বলেছেন, ব্রিজের নির্মাণ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীও দাবি করেছেন, ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিল অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি-দিল্লির বিশেষজ্ঞরা এই ফ্লাইওভার নিয়ে তাঁদের মত দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ সংগঠন এই ব্রিজের নির্মাণ নিয়ে তোলা প্রশ্নকে উড়িয়ে দেয়। তারপরেই ব্রিজটির উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।