মাওবাদী মুক্তাঞ্চলে আবগারি মন্ত্রীর মাতাল রক্ষীদের অস্ত্র হাওয়া
বুঁদ হয়ে ডুবে তো গেলই, রাইফেলও খোয়া গেল মন্ত্রীর রক্ষীদের। তা-ও আবার মাওবাদী এলাকায়!
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ। রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী জয়প্রকাশভাই প্যাটেলের বাড়ি। শনিবার গভীর রাতে মন্ত্রীমশাইকে বাড়িতে ছেড়ে তিন রক্ষী 'থোড়ি দের মেঁ আ রহে হ্যাঁ' বলে হাওয়া! অথচ থাকার কথা ছিল মন্ত্রীর বাড়িতেই। দিলদরিয়া মন্ত্রীমশাই কিছু মনে করেননি।
তা বেশ! রাত গড়িয়ে সকাল, সকাল গড়িয়ে বেলা। উশকোখুশকো চুলে, আলুথালু উর্দিতে হাজির তিন রক্ষী। কাছে নেই অস্ত্রশস্ত্র। অথচ কালও তো ছিল! কী ব্যাপার? চেপে ধরলেন মন্ত্রী নিজেই। শুকনো মুখে রক্ষীদের জবাব, তিন কিলোমিটার দূরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ভবনের এক কোণে সেঁধিয়ে গিয়েছিল তারা। তার পর সুরার বোতল খুলে পান। এত পর্যন্ত মনে আছে। তখনও পাশে ছিল দু'টো একে-৪৭ রাইফেল, ১৫০ রাউন্ড গুলি, একটি সার্ভিস রিভলভার আর তার ৩৫ রাউন্ড গুলি। কিন্তু, বেহুঁশ হয়ে পড়ার পর কী হয়েছিল খেয়াল নেই। চোখ মেলতে দেখা গেল সব হাওয়া বিলকুল। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অতঃপর ছুটে আসা মন্ত্রীমশাইয়ের কাছে।
চিন্তার বিষয় হল, হাজারিবাগ মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকা হিসাবেই পরিচিত। যদি কোনও প্রতিকূল ঘটনা ঘটত, তা হলে? এদিকে, ওই অস্ত্র কারা চুরি করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর তিন রক্ষী নবনীত তিওয়ারি, কিষণ রাই, ইন্দ্রকুমার ছেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মজার ব্যাপার হল, এই মন্ত্রীর বাবাও এক সময় হাজারিবাগ থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। চারবার। তখন তাঁরও ব্যক্তিগত রক্ষীর সার্ভিস রিভলভার চুরি গিয়েছিল। তাও আবার একবার নয়, দু'বার!
সেই পরম্পরাই চলছে আর কী!