দেশে বসবাসকারী অভিবাসীদের বাইরে ছুঁড়ে ফেলা উচিত, দাবি রাজ ঠাকরের
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এবার সরব হন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) সভাপতি রাজ ঠাকরে। তিনি শনিবার ঘোষণা করেন যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে যারা এসে ভারতে বসবাস করছেন, তাদের দেশ থেকে ছুঁড়ে ফেলা উচিত, কারণ তারা দেশের অপ্রয়োজনীয় বোঝা হিসাবে রয়েছেন।

রাজ ঠাকরে বলেন, 'এই অভিবাসীরা সারা দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। দেশকে তাদের বোঝা বইতে হচ্ছে। এরা স্থানীয় যুবকদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে, এই অভিবাসীরা যেখানকারই হোক না কেন তাদের দেশের বাইরে বের করে দেওয়া উচিত।’ তিনি বিজেপির নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বিদ্রুপ করে বলেন, 'আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই খেলা খেলার জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। এই একটা পদক্ষেপ (এনআরসি–সিএএ) দেশের আর্থিক সংকটের দিক থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়েছে।’ তিনি দাবি জানিয়েছেন যে ভারতে ইতিমধ্যেই ১৩৫ কোটি মানুষের বাস, সত্যিই কি বাইরে থেকে আর কোনও মানুষকে নিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে? ভারত অভিবাসীদের জন্য ধরমশালাতে পরিণত হবে ভবিষ্যতে।
কিছু ধর্মের মানুষ কেন নাগরিকত্বের অধিকার পেতে চান এবং অন্যদের বঞ্চিত করতে চান এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন এমএনএস প্রধান। রাজ ঠাকরে কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে জানান যে আগে সরকার দেখুক ভারতে দশকের পর দশক ধরে কোন মুসলিমরা রয়েছে এবং কারা পাকিস্তান, বংলাদেশ ও আফগানিস্তানের অভিবাসী এবং তারপরই তাদেরকে দেশ থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হোক। তিনি বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না, যখন আমাদের জনগণের সমস্যাগুলি এখনও সমাধান হয়নি, তবে কেন আমরা আরও শরণার্থী নেব এবং তাদের নাগরিকত্ব দেব? আমরা কি কেবলমাত্র শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাকি রয়েছি? সরকারের উচিত সবার আগে আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য ভাবনা–চিন্তা করা।’ সিএএ–এনআরসি নিয়ে দেশের অধিকাংশ শহরেই চলছে বিক্ষোভ–প্রতিবাদ। রাজ ঠাকরের কথায় দেশে কতজন ভারতীয় মুসলিম ও অভিবাসী বাস করে সরকার কতটা সে সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, 'পুলিশ সব জানে, তাদের থানার অন্তর্গত কতজন অভিবাসী বাস করেন তা তাদের নখদর্পনে, কিন্তু তাদের হাত বাঁধা। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না।’
এমএনএস প্রধান জানান, দশকের পর দশক ধরে বসবাসকারী ভারতীয় মুসলিমদের কোনও ভয় নেই এবং স্থানীয় (মারাঠি) মুসলিমদেরকেও কেউ বিরক্ত বা সমস্যায় ফেলবে না।