নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হতেই শ্রীনগরে গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতি, বাড়ানো হল ভূস্বর্গের নিরাপত্তা
ফের একবার গৃহবন্দি হতে হলে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। আগামী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে শ্রীনগরে মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখ
ফের একবার গৃহবন্দি হতে হলে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। আগামী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে শ্রীনগরে মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
যদিও এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই অশান্তি এড়াতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শ্রীনগরে। জম্মুতে বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনে যাওয়ার সময়ে তাঁকে নজরবন্দি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গি দমনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে, এমনটাই অভিযোগ মেহবুবা মুফতির।
গত কয়েকদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধ একাধিক বিক্ষোভে অংশ নেন পিডিপি নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, বাহিনীর গুলিতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ যবে থেকে আফস্পা লাঘু হয়েছে তবে থেকে সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে কোনও জবাব নিরাপত্তাবাহিনী দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য সোমবার জঙ্গিদমনের অভিযানে দুজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। সেনার গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হিয় বলে অভিযোগ মেহবুবার। এই বিষয়ে সেনার তরফে কিছুই বলা হয়নি বলেও দাবি তাঁর। আর এই বিষয়ে আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। আর এরপরেই সন্ধ্যায় মেহবুবাকে গৃহবন্দি করা হয়।
উল্লেখ্য এর আগেও একাধিকবার মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। গত বছর শেষের দিকে তাঁকে আটক করা হয়। বাদগাম সফরে যাওয়ার কথা ছিল মুফতির। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়ে তিনি দেখেন দরজায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে টুইটারে সেই ভিডিও শেয়ার করেন মেহবুবা মুফতি। শুধু তাই নয়, চলতি বছরেও একাধিকবার আটক করা হয় তাঁকে।
হায়দরপুরা এনকাউন্টার নিয়ে কি বলছে পুলিশ!
পুলিশের তরফে বলা হয়েছে যে হায়দরপুরা এলাকাতে হওয়া এনকাউন্টারে এক পাকিস্তানি জঙ্গি এবং তাঁর এক স্থানীয় সঙ্গীর মৃত্যু হয়। আর এই ঘটনায় সাধারণ দুজন মানুষের মৃত্যু হয়। কল সেন্টারের নামে জঙ্গি ঘাঁটি ছিল সেখানে। এমনটাই দাবি।
শুধু তাই নয়, পুলিশের দাবি, যে দুই সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে খতম হওয়া জঙ্গিদের কাছের লোক ছিল। কল সেন্টারের আড়ালে জঙ্গি ঘাঁটি চলছিল বলে অনুমান পুলিশের। আর এনকাউন্টারের মধ্যে দুজনেই পড়ে যাওয়ার কারনে মৃত্যু বলে দাবি পুলিশের।
অন্যদিকে একদিকে যখন গৃহবন্দি করা হয়েছে মেহবুবাকে অন্যদিকে জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠল কূলগাম জেলা। সেখানকার গ্রামে লুকিয়ে থাকা পাঁচ জঙ্গিকে খুতম করেছে সেনাবাহিনী।