নিখোঁজ জওয়ানের ছবি প্রকাশ্যে, তাদের কাছে রয়েছেন রাকেশ্বর সিং, নিশ্চিত করল মাওবাদীরা
নিখোঁজ জওয়ানের ছবি প্রকাশ্যে, তাদের কাছে রয়েছেন রাকেশ্বর সিং, নিশ্চিত করল মাওবাদীরা
শনিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২২ জন নিহত জওয়ানদের পাশাপাশি নিখোঁজ হন এক জওয়ানও। ওই জওয়ান আদৌও মাওবাদীদের হাতে বন্দী হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত খবর ছিল না সিআরপিএফের কাছে। সবটাই অনুমানের ওপর ছিল। বুধবার সব জল্পনার অবসান করে নিষিদ্ধ সিপিআই তথা মাওবাদী এলিট কোবরা বাহিনীর ওই জওয়ানের ছবি প্রকাশ করে জানিয়েছে যে তিনি তাদের কাছেই বন্দী রয়েছে।
মাওবাদী শিবিরে নিখোঁজ জওয়ান
জওয়ানের এই ছবি প্রকাশের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির (ডিএসজেডসি) পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি করা হয় যে সরকারের সঙ্গে বাধ্যতামূলক কথোপকথনের পরই জওয়ানকে ছাড়া হবে। মাওবাদীরা যে ছবি সামনে এনেছে, তা কোবরা জওয়ান রাকেশ্বর সিং মনহাসের, যিনি একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থানে প্লাস্টিকের ওপর বসে রয়েছে, এটা সম্ভবত মাওবাদীদের শিবির।
সরকারের সঙ্গে কথা বলার পর ছাড়বে জওয়ানকে
গত ৩ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান রাকেশ্বর সিং মনহাস, ওইদিনই সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদী-নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ২২ জন জওয়ান। সোমবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে মাওবাদীরা ফোন করে জানায় যে নিখোঁজ জওয়ান তাদের কাছে বন্দী। মঙ্গলবারও মাওবাদীরা এই খবরটি নিশ্চিত করে। ডিএসজেডসির মুখপাত্র বিকল্প বলেছেন, 'সরকারের পাঠানো মধ্যম ব্যক্তির নাম ঘোষণা করতে হবে, যাঁর সঙ্গে কথোপকথনের পর আমরা আমাদের হেফাজত থেকে পুলিশ কর্মীকে ছাড়ব। ততদিন তিনি আমাদের নিরাপত্তার অধীনে সুরক্ষিত থাকবেন।'
অসুস্থ ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ান
এই ছবি প্রকাশের আগে সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিং জানিয়েছিলেন যে অপারেশনের সময় অসুস্থ ছিলেন নিখোঁজ জওয়ান। যদিও তিনি জওয়ানের আহত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেননি। কুলদীপ সিং বলেন, 'হয়ত তিনি অতিরিক্ত তাপ বা অন্য কোনও কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।' শনিবার সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় মনহাসের সঙ্গে থাকা এক জওয়ান জানিয়েছেন যে লড়াই চলাকালীন মনহাস বসে পড়েছিলেন এবং সেখান থেকে কোথাও নড়েননি। প্রসঙ্গত, পাঁচ ঘণ্টার টানটান লড়াইয়ের পর ২২ জন জওয়ান যেমন নিহত হয়েছেন তেমনি মনে করা হচ্ছে মাওবাদীদের মধ্যেও অনেকে মারা পড়েছে।
২২ জন নিহত ও একজন বন্দী
শনিবার এই সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর বাহিনী তাদের কর্মীদের গুনছিল। সিং বলেন, 'তখনই আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের বেশ কিছু কর্মী নিখোঁজ। ৮ জন ডিআরজি থেকে, ৬ জন এসটিএফ থেকে এবং সাতজন কোবরা বাহিনী থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিন খুব সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছি, তাই পরের দিন খুব ভোরে প্রায় ৪টের সময় নিখোঁজদের খোঁজে অপারেশন চালানো হয়।'
মমতার উত্থানের গড়ে শক্তি প্রদর্শন অমিত শাহের, সিঙ্গুরে খেলা ঘোরানোই লক্ষ্য