একসময়ে ইন্দিরার বিরুদ্ধে যাওয়া খারগেই কংগ্রেস সভাপতি
একসময়ে ইন্দিরার বিরুদ্ধে যাওয়া খারগেই কংগ্রেস সভাপতি
মল্লিকার্জুন খারগে। শশী তারুরকে প্রত্যাশিতভাবেই পরাজিত করেছেন। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের ১৮ তম সভাপতি। এই নির্বাচনে খারগে অলিখিতভাবে গান্ধী পরিবারের আশীর্বাদ পেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের মধ্যে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হওয়া জি-২৩ ভুক্ত নেতাদের সমর্থনও পয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসের সব থেকে খারাপ সময়ে সোনিয়া গান্ধীর ভরসা কর্নাটকের ৯ বারের বিধায়ক এবং দুবারের সাংসদ। কর্নাটকে কংগ্রেসের ভরা সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে উপক্ষিত থেকে গিয়েছেন বারে বারে। এই মল্লিকার্জুন খারগেই একটা সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন।
ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন
১৯৭০
দশকের
শেষ
দিকে
কর্নাটকের
তৎকালীন
মুখ্যমন্ত্রী
দেবরাজ
উরসের
সঙ্গে
তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী
ইন্দিরা
গান্ধীর
মধ্যে
সম্পর্কের
টানাপোড়েন
দেখা
দেয়।
খারগের
রাজনৈতিক
গুরু
ছিলেন
উরস।
তিনি
সঞ্জয়
গান্ধীর
রাজনীতিতে
ফিসে
আসার
বিপক্ষে
ছিলেন।
উরস
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী
থাকার
পাশাপাশি
রাজ্য
কংগ্রেসের
সভাপতিও
ছিলেন।
কোনো
একটি
পদ
তিনি
ত্যাগ
করতে
ইচ্ছুক
ছিলেন
না।
সেই
সময়
কর্নাটকের
বেশিরভাগ
কংগ্রেস
বিধায়ক
উরসের
প্রতি
আনুগত্য
প্রকাশ
করেছিলেন।
যা
ইন্দিরা
গান্ধীকে
অস্বস্তিতে
ফেলে
দেয়।
অন্যদিকে
ইন্দিরা
গান্ধী
সন্দেহ
প্রকাশ
করেছিলেন
যে
উরস
জনতা
পার্টির
সঙ্গে
যোগাযোগ
রাখছেন।
সেই
পরিস্থিতিতে
ইন্দিরা
গান্ধী
উরসকে
রাজ্য
কংগ্রেসের
সভাপতির
পদ
থকে
সরিয়ে
দেন।
কংগ্রেস ছেড়েছিলেন খারগে
১৯৭৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে উরসের তৈরি কংগ্রেস ইউ-তে যোগ দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খারগে। যদিও ১৯৮০-র লোকসভা নির্বাচনের পরে খারগে কংগ্রেসে ফিরে আসেন। কেননা উরস কর্নাটকে একটি আসন জিততে পারেননি।
কংগ্রেসের প্রতি তীব্র আনুগত্য
সেই
সময়
থেকে
কংগ্রেসের
প্রতি
তীব্র
আনুগত্য
দেখিয়ে
এসেছেন
মল্লিকার্জুন
খারগে।
আনুগত্য
হিসেবে
খারগে
নিজের
২
ছেলের
নাম
রেখেছিলেন
রাহুল
ও
প্রিয়ঙ্ক।
অন্যদিকে
নিজের
মেয়ের
নাম
রেখেছিলেন
প্রিয়দর্শিনী।
কোনও
কোনও
প্রতিবেদনে
এও
বলা
হয়েছে,
৫
বছর
বয়সে
খারগে
বাবার
সঙ্গে
বিদার
থেকে
গুলবর্গায়
পালিয়ে
গিয়েছিলেন।
সেই
সময়
রাজাকাররা
খারগের
মা
ও
বোনকে
হত্যা
করেছিল।
ধাপে ধাপে ওপরে উঠেছেন
অক্টোজেনারিয়ান খারগে দলের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেই জায়গায় তিনি পৌঁছেছেন ধাপে ধাপে। তিনি কংগ্রেসের ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করেন। তারপরে তিনি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন। মধ্যে আইন পাশ করেছেন। পরে সরাসরি কংগ্রেসে যোগদান। ১৯৬৯ সালে তাঁকে গুলবর্গা সিটি ইউনিটের সভাপতি করা হয়। তিন বছর পরে খারগে প্রথমবারের মতো বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শুধু সেই বারেই নয় , তিনি মোট নয়বার রাজ্য বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালে তিনি উরস সরকারে মন্ত্রীও হন।
তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পদে উপেক্ষা
তিন তিনবার মল্লিকার্জুন খারগেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে উপেক্ষা করা হয়। ১৯৯৯, ২০০৪ এূং ২০১৩ সালে যথাক্রমে এসএম কৃষ্ণ, ধরম সিং এবং সিদ্দামারাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তাঁর নাম আলোচনায় উঠে আসে। কিন্তু পরবর্তী কালে আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হয়নি খারগের। ২০০৪ সালে তিনি বিদায়ী সরকারের ২ নম্বর মন্ত্রী ছিলেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে তাঁরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাতে বাধা পড়ে। সেই সময় খারগের সমর্থকরা বিষয়টিকে সোনিয়া গান্ধীর কাছে নিয়ে য়েতে বললেও, তিনি বিষয়টিতে আমল দেননি।
দলের পুরস্কারের পালা শুরু ২০১৯ থেকে
২০১৯-এ কংগ্রেস স্বাধীন ভারতে লোকসভা নির্বাচনে সব থেকে খারাপ ফল করে। সেই সময় তাঁকে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে রাজ্যসভায় দলের নেতা করা হয়। খারগে জগজীবন রামের পরে কংগ্রেসের দ্বিতীয় দলিত সভাপতি। আর কর্নাটক থেকে এস নিজলিঙ্গাপ্পার পরে দ্বিতীয় নেতা যিনি কংগ্রেসে সভাপতি হলেন।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের আগের কয়েকটি মুহূর্ত, যেখান থেকে নিশ্চিত হয়েছিল ভোট অবশ্যম্ভাবী