মালদ্বীপের কাছে ভেঙে পড়েছে নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমান এমএইচ৩৭০!
গতবছর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া যাত্রীবাহী মালয়েশীয় বিমান এমএইচ৩৭০-এর খোঁজ মিলল অবশেষে!
মালদ্বীপের একটি দ্বীপের বাসিন্দারা কিন্তু বলছেন গত বছর মার্চ মাসে যেদিন থেকে এমএইচ৩৭০-এর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, সেদিন সকালেই তাঁদের দ্বীপের উপর দিয়েই তাঁরা উড়ে যেতে দেখেছেন ওই বিমানটিকে।
মালদ্বীপের কুদাহুভাদু জাতির পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, গত বছর ৮ মার্চ তাঁরা দ্বীপের একেবারে নীচ দিয়ে ওইরকমই একটি বিমানকে উড়ে যেতে দেখেছেন। এতটাই নীচ দিয়ে গিয়েছে বিমানটি যে সেটির দরজা, গায়ের নীল-লাল রঙ যা অবিকল এমএইচ৩৭০-এর মতো দেখতে তা তারা দেখেছেন।
শুধু তাই নয়, তাঁরা রীতিমতো সই-সাবুদ করে পুলিশের কাছে নিজেদের বয়ান জমা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করা আব্দু রশিদ নামে একজন। তিনি অস্ট্রেলীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, জলের খুব কাছ দিয়ে বিমানটিকে তিনি উড়ে যেতে দেখেছেন তবে তখন তিনি ঘটনাটির গুরুত্ব জানতেন না। তিনি বলেন, "আমি জানতাম না যে একরম একটি বিমান নিখোঁজ হয়েছে। আমি বাড়ি ফিরেই স্ত্রী ও পরিবারের সবাইকে ঘটনাটির কথা জানাই।" এত বড় বিমান তিনি কস্মিনকালেও দেখেননি বলে বিস্ময়ের সঙ্গে জানিয়ে তিনি বলেছেন, "আমার বিশ্বাস আমি ওই এমএইচ৩৭০ বিমানটিকেই দেখেছি"।
শুধু আব্দু রশিদই নন, বিমানটিকে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন আর অনেক প্রত্যক্ষদর্শী। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাঁরা প্রচণ্ড আওয়াজ শুনে বাইরে আসেন এবং বিমানটিকে দেখতে পান।
মালদ্বীপের বাসিন্দাদের এই দাবিকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। কারণ ঘটনার দিন ওই এলাকার কাছাকাছি কোনও এক জায়গা থেকে একটি শব্দ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছিল। তবে একটা জায়গা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তা হল, এমএইচ৩৭০-র মতো বিশাল বিমান সমুদ্রে আছড়ে পড়লে ছোটখাটো ভূমিকম্প হতে পারে। এক্ষেত্রে সেসব কিছু ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চিনের বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে রওনা দিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশীয় বিমান এমএইচ৩৭০।
বিমানটি উড়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দক্ষিণ চিন সাগরের উপর থাকা অবস্থায় রাডারে আর ধরা যায়নি এই বিশাল বিমানটিকে। নিখোঁজ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে ভারত মহাসাগরে প্রায় ৪৬ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ও সমুদ্রতলে প্রায় দুই হাজার মিটার গভীরে অনুসন্ধান চালানো হয় বিমানটির। কিন্তু তাও এর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।