ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় তদন্তের দায়িত্বে এনআইএ, ‘যড়যন্ত্রের’ অভিযোগ মহারাষ্ট্র সরকারের
ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্তের দায়িত্বে এবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এই মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদারকির একদিন পরেই পুনে পুলিশের পর এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব এনআইয়ের হাতে হস্তান্তরিত করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে এনআইএর কাছে তদন্ত হস্তান্তরের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে শনিবার মহারাষ্ট্র কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে 'যড়যন্ত্রের ’ অভিযোগ করে। পাশাপাশি এনসিপির যুক্তি মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকারের ভুল-প্রবণতা আড়াল করার উদ্দেশ্যেই বর্তমানে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্র সরকার জানায় ভীমা-কোরেগাঁও মামলাটি এবার পর্যালোচনা করতে চায় তারা। আর সেই লক্ষ্যেই ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কোন কোন সমাজকর্মী জেলে ছিলেন তাও খতিয়ে দেখতে চাইছে উদ্ভব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সরকার। এর আগে মহারাষ্ট্রের পূর্বতন বিজেপি সরকার ১০ জন সমাজকর্মীকে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে জেল বন্দি করে বলে জানা যায়।
এদিকে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্ত একটি টুইট বার্তায় বলেন, “মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাদী সরকার পুনে পুলিশের তদন্তে পর এই ঘটনায় পুনরায় তদন্ত শুরু করার চেষ্টা করলে তার দায়ভার দ্রুত এনআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এতে বিজেপির ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। যদি এনআইয়ের হাতেই তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার ছিল তাহলে দুবছর বাড়তি সময় লাগলো কেন? এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ”
এদিকে এনআইএ এই মামলাটির তদন্তের দায়ভার গ্রহণ করার একদিন পরেই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বিজেপির বিরুদ্ধে কয়েকমাস আগের বিরোধী দলনেতাদের ফোন ট্যাপ করার অভিযোগ করেন। মূলত শিবসেনা-বিজেপি সংঘাতের আবহে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-শিবসেনা ও এনসিপি জোট সরকার তৈরির সময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
তার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস মিলে যখন সরকার গড়তে তৎপর, সেই সময় বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিস, সরকারি আধিকারিকদের কাজে লাগিয়ে, নিয়মিত বিরোধী নেতাদের ফোনে ট্যাপ করেন। যদিও এই ঘটনাতেও ইতিমধ্যেই তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকার।