করোনা মহামারিকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ অ্যাখা দেওয়ার অনুরোধে কেন্দ্রকে চিঠি উদ্ধব ঠাকরের
করোনা মহামারিকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ অ্যাখা
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। আক্রান্তের নিরিখে প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশ। আর যার বেশিরভাগটাই মহারাষ্ট্র থেকে। গত বছরের মতো এ বছরও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ১৫ দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে এ রাজ্যে। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধব সরকার। এবার করোনা মহামারিকে 'প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ আখ্যা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যাতে সরকার রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া তহবিএর অর্থ ব্যবহার করতে পারে আক্রান্ত মানুষদের জন্য।
সব
রাজ্যের
বিপর্যয়
পরিচালনা
আইন
তৈরি
হয়েছে
কেন্দ্রীয়
বিপর্যয়
পরিচালনা
আইন
মেনে।
বৃহস্পতিবার
এক
সরকারি
কর্মকর্তা
জানিয়েছেন,
মহামারি
দ্বারা
ক্ষতিগ্রস্থদের
সহায়তায়
এসডিআরএফ
ব্যবহারের
জন্য
রাজ্যটির
কেন্দ্রীয়
সরকারের
অনুমতি
দরকার।
বুধবার
এ
সংক্রান্ত
অনুমতি
চেয়ে
মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রকে
চিঠিতে
জানিয়েছেন
যে
বন্যা,
বজ্র–বিদ্যুতের
ঘটনা,
ভারী
বৃষ্টিপাত
যেখানে
বিপুল
পরিমাণে
সম্পত্তি
বা
প্রাণহানি
ঘটে,
তা
সবই
প্রাকৃতিক
বিপর্যয়ের
আওতায়
আসে
এবং
আক্রান্তদের
আর্থিক
সহায়তা
করা
হয়।
রাজ্যে
করোনা
ভাইরাস
মহামারির
কারণে
বহু
মানুশের
উপার্জনের
ওপর
তা
প্রভাব
পড়েছে
এবং
মুখ্যমন্ত্রী
একই
কারণের
জন্য
এসডিআরএফের
অর্থ
ব্যবহার
করতে
চেয়ে
কেন্দ্রের
অনুমতি
চাইছে।
সরকারি
এক
আধিকারিক
বলেন,
'আমরা
এটা
করার
জন্য
আইনত
বিধান
চাইছি,
সেই
জন্য
রাজ্য
সরকার
এই
চিঠি
লিখেছেন।’
চিঠিতে
মুখ্যমন্ত্রী
উদ্ধব
ঠাকরে
প্রধানমন্ত্রীকে
মহারাষ্ট্রে
অক্সিজেনের
সরবরাহের
চাহিদা
মেটাতে
সহায়তা
করার
জন্যও
আবেদন
করেন।
বর্তমানে
রাজ্য
১২০০
এমটি
লিকুইড
মেডিক্যাল
অক্সিজেন
তৈরি
করতে
পারে।
তবে
বর্তমানে
রাজ্যে
২০০০
এমটি
অক্সিজেন
দরকার।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮,৯৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৮ জনের। যার জেরে করোনার কেস মহারাষ্ট্রে মোট দাঁড়িয়েছে ৩৫,৭৮,১৬০ জন।দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লক্ষেরও বেশি। বুধবার রাত ৮টা থেকেই ১৫ দিনের লকডাউন জারি হয়ে গিয়েছে যা চলবে ১ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত।