খারগোন হিংসার ঘটনায় পক্ষপাতিত্ব করছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তোপ আসাদউদ্দিন ওয়েসির
খারগোন হিংসার ঘটনায় পক্ষপাতিত্ব করছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তোপ আসাদউদ্দিন ওয়েসির
মধ্যপ্রদেশের খারগোনে কিছু বাড়িতে বুলডোজার চালানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সমালোচনা করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের খারগোনে রাম নবমীর মিছিলে হিংসায় জড়িত অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নিন্দা করেছেন আসাদউদ্দিন৷ তিনি বলেছেন যে এটি মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবের প্রকাশ করে।
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে ওয়েসি বলেন, এটি স্পষ্টতই রাষ্ট্রীয় হিংসতা এবং জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন। সরকার মিছিলের অনুমতি দেয়। সরকার কীভাবে মিছিলে হিংসতা ছড়াতে দেয়? বাড়িঘর ও দোকানপাট লুট করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে গুলি চালানো। মধ্যপ্রদেশ সরকার কোন আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে? এটা স্পষ্টভাবে মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষপাতমূলক মনোভাব প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, খারগোনের জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ রাম নবমী মিছিলে হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীদের অবৈধ ভবনগুলি ভেঙে দিয়েছে। প্রায় ৪৫টি বাড়ি ও দোকানের ওপর বুলডোজার চালিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ এপ্রিল) প্রায় ১৬টি বাড়ি ও ২৯টি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ অন্যদিকে, সম্প্রতি দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসে রাম নবমী উপলক্ষে আমিষ খাবারের ইস্যুতে যে হাতাহাতি শুরু হয়েছিল সে সম্পর্কে ওয়েসিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)।
মেডিক্যাল স্টাফ হিসেবে কয়েকশো নিয়োগ, পরীক্ষা নেবে UPSC
দেশকে সেই পথে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে 'জাতি দুর্বল হয়ে পড়ছে'। তারপরই তিনি তোপ দেগে বলেছেন, আপনারা মাংস রপ্তানি নিষিদ্ধ করছেন না কেন? সেখানে ডলার পান বলে এটি নিষিদ্ধ করেন না? দেশ কি বিশ্বাসের ভিত্তিতে নাকি সংবিধানের ভিত্তিতে চলবে? আমরা বিজেপি এবং আরএসএসকে বলতে চাই আপনারা যে সব পদক্ষক্ষেপ নিচ্ছেন তাতে জাতি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
সোমবার দিল্লি পুলিশ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে হিংসতার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে যার ফলে ছ'জন ছাত্র আহত হয়েছে। যদিও জেএনইউ প্রশাসন জানিয়েছে যে ক্যাম্পাসে কোনও হিংসতা সহ্য করা হবে না এবং ক্যাম্পাসে শান্তি ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করে এমন কোনও ঘটনায় জড়িত না হওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে।