প্রয়াগরাজে প্রবেশ পঙ্গপালের, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে এই পতঙ্গ, ভিডিও ভাইরাল
প্রয়াগরাজে প্রবেশ পঙ্গপালের, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে এই পতঙ্গ, ভিডিও ভাইরাল
ভারতে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির পর এবার প্রয়াগরাজে পঙ্গপালের ঝাঁক হামলা করেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে ক্রমাগত বুধবার পর্যন্ত পঙ্গপালের হামলা চলে এখানে। এর আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই পতঙ্গের হমলায় মানুষ তটস্থ হয়েছিল। প্রচুর ফসলের ক্ষতি করেছে এই পঙ্গপাল।
ফসলের সেভাবে ক্ষতি হয়নি
জানা গিয়েছে, কোরাওন ও মেজা এলাকার বেশ কিছু গ্রামে পঙ্গপালের দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা যায়। ভাগ্যবশত ফসলের গুরুতর কোনও ক্ষতি হয়নি। ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে মঙ্গলবার রাত থেকে এবং তারা পশ্চিম অভিমুখে চলে যায়। বুধবার রাতে করচনা গ্রামে ঢুকে সর্বনাশ করে পঙ্গপালের দল। তারা সব সবজির খামার খালি করে দেয়। সূত্রের খবর, পঙ্গপালের ঝাঁক তিন কিমি প্রশস্ত ও এক কিমি দীর্ঘ ছিল।
মির্জাপুর থেকে প্রয়াগরাজে প্রবেশ
পঙ্গপালগুলি মির্জাপুর জেলা থেকে প্রয়াগরাজে প্রবেশ করে। এর আগে সোমবার ও মঙ্গলবারের মধ্যে সিংরৌলি ও সোনভদ্রা জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে তাদের দেখা গিয়েছিল। এই হামলার পরে জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে এবং ফায়ার টেন্ডারের সাহায্যে ক্ষেতগুলি জুড়ে রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। গ্রামবাসীরাও তাঁদের বাসপত্র ও ড্রাম বাজিয়ে জোরে জোরে শব্দ করতে শুরু করেন যাতে পঙ্গপালের দল পালিয়ে যায়। কেউ কেউ শব্দের জন্য বাজিও ফাটান।
প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে
প্রধান উন্নয়ন কর্মকর্তা (প্রয়াগরাজ) আশীষ কুমার বলেছেন, ‘পঙ্গপালের আক্রমণাত্মক হামলার প্রতিরোধের জন্য জেলা প্রশাসক, গ্রাম প্রধান এবং ব্লক পর্যায়ের দলগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তারা এ ক্ষেত্রে কি করবেন তা সবিস্তারে বলা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এখন কোনও বড় ফসল রোপণ করা হয়নি, কিছু সবজির ক্ষতি ছাড়া সেভাবে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক মজুত রয়েছে। সব প্রতিবেশী জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে।'
বেশ কিছু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত
উপ-বিভাগীয় জেলা প্রশাসন (করচানা) আকাঙ্খা রানা বলেন, ‘মাঠে রাসায়নিক-কীটনাশক স্প্রে করে ও খোলা মাঠে জোরে জোরে গান বাজিয়ে পঙ্গপালদের দূরে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।' ধারওয়াড়া, মাদেনি সিং কা পুরা, টালা, হাথসারা ও লোহান্ডি সহ বেশ কিছু গ্রাম ইতিমধ্যেই পঙ্গপালের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত। ওই এলাকার বিডিও রাম শঙ্কর বলেন, ‘আমরা তিনটি দমকলের ইঞ্জিনকে কাজে লাগানোর জন্য এনেছি এবং অতিরিক্ত দমকলের গাড়িও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মাঠে রাসায়নিক ছড়াচ্ছে। অধিকাংশ পঙ্গপালই চলে গিয়েছে।' পঙ্গপালের ঝাঁকের ভিডিও ইতিমধ্যে অনলাইনে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মানুষ যা দেখে আতঙ্কিত।
রাতারাতি গোলাপী হয়ে গেল হ্রদের জল, ঘুম ছুটেছে বিজ্ঞানীদের, দেশে ঘটতে চলেছে কোন অঘটন