বাবরি মসজিদের মতোই ২০২২ সালে ধ্বংস হবে জ্ঞানবাপী, বিতর্ক উস্কে দিয়ে মন্তব্য বিজেপি নেতার
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না যে তা আরও উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোম। তিনি জানিয়েছেন, জ্ঞানবাপী মসজিদ, যেটি বারাণসীর জনপ্রিয় কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া, তা বাবরি মসজিদের মতোই ধ্বংস করে দেওয়া হবে।

সোমবার জ্ঞানবাপী মসজিদ থেকে ৪৫০ কিমি দূরে মিরাটে এক অনুষ্ঠানে এসে সোম বলেন, '১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙচুর করা হয়, এবার সময় এসেছে জ্ঞানবাপী মসজিদের, এটা আমরা ২০২২ সালে ভাঙব।’ এই মন্তব্য করার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত, এই সঙ্গীত সোম ২০১৩ সালে মুজফ্ফরনগর সাম্প্রদায়িক হিংসা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। তিনি এদিন বলেন, 'তাদের (মুসলিম) এটা জানা উচিত ছিল (জ্ঞানবাপী মসজিদ ধ্বংস) যেদিন বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল.....তাদের জানা উচিত ছিল দেশ কোন পথে এগোচ্ছে...আমরা এমন কোনও (বিতর্কিত) মসজিদ ছাড়ব না এবং তাদের সব ধ্বংস করব।’ সোম জানিয়েছেন যে রামলালা (ভগবান রামের মূর্তি) বহু বছর তেরপলে ছিলেন কিন্তু এখন গ্র্যান্ড রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, 'বাবরি মসজিদের একটাও ইঁট খুঁজে পাওয়া যাবে না, একই ঘটনা ঘটবে জ্ঞানবাপী মসজিদের সঙ্গে।’
পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বুধে অসম সফরে অভিষেক! ঘর ভাঙার আশঙ্কায় কংগ্রেস
সঙ্গীত সোম দাবি করেন যে মুসলিম পক্ষ 'ইচ্ছাকৃতভাবে’ কাশী বিশ্বনাথ চত্ত্বরের জরিপের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে কারণ তারা জানত যে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরে একটি মন্দিরের প্রমাণ রয়েছে। কিছু মাস আগে হওয়া উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সরধানা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন সঙ্গীত সোম কিন্তু সমাজবাদী পার্টি (সপা)–এর প্রার্থী অতুল প্রধানের কাছে হেরে যান।
এর আগেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) মথুরার কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিল। অল ইন্ডিয়া আখারা পরিষদ (এআইএপি), যেটি সাধু–সন্তদের শীর্ষ সংগঠনও জানিয়েছিল যে রাম মন্দির নিয়ে লড়াই শেষ এবং এখন সময় কাশী ও মথুরা নিয়ে সংঘর্ষ করার। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই আদাতের নিয়োগ করা কমিশনারের দল জ্ঞানবাপী মন্দিরে জরিপ করতে গিয়ে মুসলিমদের কাছে বাধা পান।
