আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস, কতটা মারাত্মক এই রোগ, প্রতিকারই বা কী, আসুন জেনে নিই
আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস
করোনা আবহের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জিকা ভাইরাসের কেস সনাক্ত হওয়ায় নতুন করে চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্র সরকারের। কেরলের পর এবার মহারাষ্ট্রও জিকা ভাইরাসের কেস সনাক্ত হওয়ার খবর এসেছে শনিবারই। মূলতঃ ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহনকারি এডিস মশাই এই জিকা ভাইরাস ছড়ায়। এই ভাইরাস কি এবং কীভাবে এর থেকে দূরে থাকবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক।
জিকা ভাইরাস কী
ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতোই জিকা ভাইরাসও মশাবাহিত একটি ভাইরাস। জানা যাচ্ছে, যে এডিস মশার কারণে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া প্রভৃতি রোগ ছড়ায়, সেই এডিস মশাই জিকা ভাইরাস বহন করে।
জিকা ভাইরাসের লক্ষণ
জিকা ভাইরাসের উপসর্গগুলি হল জ্বর, গায়ে হাত-পায়ে ব্যাথা, র্যাশ, মাথা ব্যাথা, কনজাংটিভাইটিস, গাঁটে ব্যথাও দেখা দিতে পারে। এর উপসর্গের সঙ্গে ডেঙ্গির উপসর্গের মিল রয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে যে এই উপসর্গগুলি ২-৭দিন থাকে এবং অধিকাংশ মানুষের শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না।
জিকা ভাইরাসের ইতিহাস
১৯৪৭ সালে আফ্রিকাতে প্রথম জিকা ভাইরাসের স্ট্রেইন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাস প্রথম নজরে আসে ২০১৫ সালে যখন তা ব্রাজিলে পাওয়া যায়। এরপর ধীরে-ধীরে এই জিকা ভাইরাস ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসটি সাধারণত ভাইরাসে আক্রান্ত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া, যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়ায়। ২০১৬ সালে হু জিকা ভাইরাসকে পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি হিসেবে চিহ্নিত করে।
জিকা ভাইরাস কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
জিকা ভাইরাসের বাহক এডিস মশা দিনের বেলা ও বিকেলবেলার দিকে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই চিকিৎসকদের মতে এই সময় বাইরে একান্তই বেরোতে হলে ঢাকা পোশাক পরে বেরনো ভালো। এছাড়াও বাড়ির আশেপাশে জল যেন জমে না থাকে। বিশেষ করে এখন বর্ষার সময় অনেক জায়গাতেই জল জমে রয়েছে তা যেন দ্রুত পরিস্কার করে দেওয়া হয়। জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জিকা ভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা কতটা
জিকা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে না। ঠিকমতো চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত বিশ্রামে তা নিরাময় হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী মহিলারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁদের গর্ভের সন্তানের মাইক্রোসেফালি হতে পারে।
জিকার চিকিৎসা কী?
জিকার কোনও ভ্যাকসিন নেই কিংবা কোনও ওষুধ নেই। উপসর্গ সাধারণত মৃদু। বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার প্রয়োজন জিকা হলে। এবং গা-ব্যথা আর জ্বরের জন্য দরকার বিশ্রাম। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা।
তৃতীয় স্রোতের আতঙ্কের মাঝে সপ্তাহ শেষেও দৈনিক আক্রান্ত ৪১ হাজারের ঘরে, পরিসংখ্যান একনজরে