লাদাখে চিন সংহারে মিসাইল ফায়ারিং ড্রোন নিয়ে তৎপরতায় ভারত! আমেরিকা-ইজরায়েলকে দিল্লির কোন বার্তা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এম কিউ-৯বি স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন ও ইজরায়েলের থেকে ভারতে পৌঁছানো হেরোনকে আরও শক্তিশালী করে চিনকে নিশানায় রাখতে চাইছে ভারত। এই দুই যুদ্ধাস্ত্রের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা ও অস্ত্র শক্তিতে শান দেওয়ার প্রক্রিয়া জারি রেখেছে দেশ।
ড্রোন ঘিরে ক্ষমতা বৃদ্ধি
সেনার তিনটি শিবিরে এই উপসংহারে উপনীত হয়েছে যে শুধুমাত্র নজরদারি নয়, ড্রোনগুলিকে অস্ত্রশক্তি হিসাবেও বেছে নিতে হবে। ফলে এগুলির প্রযুক্তি ও শক্তিকে স্যাটেলাইট ক্ষমতার মাধ্যমে উন্নত করতে হবে।
এমকিউ ৯বি ড্রোনের ক্ষমতা
জেনেরাল অ্যাটোমিক্সের তৈরি এমবি কিউ স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। ৪০ হাজার ফুট উপরে গিয়ে এরা কার্যত পাখির মতো করে নজরদারিরর কাজ সুনিপুণভাবে চালাতে পারে।২.৫ টনের অস্ত্র এই ড্রোন বহন করার ক্ষমতা রাখে। যে বহন ক্ষমতার মধ্যে থাকছে এয়ার টু এয়ার মিসাইল ও লেজার গাইডেড বম্ব।
হেরনের ক্ষমতা বৃদ্ধি
একদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোনের অস্ত্র ক্ষমতা বাড়াতে চাইছে ভারত, অন্যদিকে ইজরায়েল থেকে আসা হেরন ড্রোনের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা বাড়াতে সেদেশের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছে দিল্লি। হেরনের সংযোগ ক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তির উন্নতি দরকার। যাতে একসঙ্গে দুটি ড্রোন উড়ে গিয়ে একটি থেকে অন্যটিতে তথ্য সরবরাহ করা যায়, সেই ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে ড্রোনগুলি।
ডিআরডিও ও অস্ত্র উন্নয়ন
চিনকে টার্গেটে রেখে যে ভারত নিজের ড্রোন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে , তা বলাই বাহুল্য়! ডিআরডিও এবং বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টরকেও অস্ত্রের ক্ষমতা উন্নয়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত ডিআরডিওকে শর্ট রেঞ্জ ট্যাক্টিক্যাল ড্রোন ও অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেমের বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চিন সীমান্তে লালফৌজ ক্রমাগত যুদ্ধাস্ত্রে সেন্সর ও নজরদারির যন্ত্র বাড়াতেই ভারতও পাল্টা তৎপরতায় রয়েছে।