চিনের আসল উদ্দেশ্য কী? লাদাখ ইস্যুতে বেজিংয়ের মুখোশ খুললেন জয়শঙ্কর
ভারতের পরীক্ষা নিচ্ছে চিন। এমনই মত ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ডাকটিকিট প্রকাশ করার কথা থাকলেও সেই অনুষ্ঠান বাতিল করার দাবি করেছিল চিন। ভারত-চিন সম্পর্কের ৭০ বছর উদযাপন করার সেই বছরেই যে লাদাখ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর জেরেই সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়।
লাদাখে চিনা আগ্রাসন ইস্যুতে জয়শঙ্করের বক্তব্য
এই পরিস্থিতিতে এদিন লাদাখে চিনা আগ্রাসন ইস্যুতে বলেন, 'আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তবে আমার সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করি যে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবরকম চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম ভারত। চলতি বছরের বেশ কিছু উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। ফলে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। এসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন করছে চিন। তারা আমাদের সীমানা সম্মান করছে না।'
জওয়ান মোতায়েনের জেরে উত্তেজনা
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় মাস পাঁচেক ধরে পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা ও সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়ে রয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উভয়দিকেই নিজেদের সেনা মোতায়েন করছে দিল্লি ও বেজিং। ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছে সীমান্তের উভয় প্রান্তে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
চিনকে বিদেশ মন্ত্রকের বার্তা
উল্লেখ্য শুক্রবার ভারতীয় বিদেশ মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'গত ছয় মাস ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পূর্ব লাদাখে যা ঘটেছে তা চিনের পদক্ষেপের জন্যই ঘটেছে। একতরফাভাবে চিন সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।' ভারতের বক্তব্য, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বর্ষ উদযাপনের জন্য কোনও উৎসবই শুরু হয়নি। ফলে ডাকটিকিট প্রকাশের যৌথ উদ্যোগটিরও বাস্তবায়নের কোনও প্রশ্ন উঠছে না।
বাংলার মন জয় করতে এবার 'বচ্চন' কার্ড বিজেপির! কোন পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের?