কেরলে ২৮ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরে করোনা পজিটিভ দুবাই ফেরত ব্যক্তি
করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও যে তা পজিটিভ হতে পারে এ নিয়ে অনেক কারোর কোনও দ্বিমত নেই। আইসোলেশন বা কোয়ান্টাইনে থাকার সব নিয়ম মেনে চলার পরও আপনার শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কোভিড–১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে ২৮দিন কোয়ারান্টাইনে থাকা কি যথেষ্ট? বিশেষজ্ঞরা বলছেন না। দুবাই ফেরত তেমনি দু’জন, যাঁদের মধ্যে একজন এসিম্পটোমেটিক, মানে তিনি করোনার কোনো সুনিশ্চিত লক্ষণ প্রকাশ করেনি, ২৮ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকার পর ২৯তম দিনে তাঁর পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।
২৯তম দিনে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে করোনা ভাইরাস
বিরল এই ঘটনাটি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে কেরলের কোঝিকোড়ের ইদাচেরির গ্রামে ফিরেছিলেন দুই ভাই এবং সোজা তাঁরা কোয়ারান্টাইনে চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের ৬৭ বছর বয়সী বাবা বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে ভর্তি বেসরকারি একটি হাসপাতালে। কিন্তু তাঁর সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ আসে মেডিক্যাল বোর্ডের পক্ষ থেকে। ১০ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ছিল। ১১ এপ্রিল তিনি প্রথম যাঁর শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপরই তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোঝিকোড়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিরলতম ঘটনা
ওই ব্যক্তির পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী, নাতি-নাতনি ও দুই ছেলের রিপোর্টও পজিটিভ আসে। ২৯তম দিনে দ্বিতীয় ছেলের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়ায় তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের হতবাক করেছে। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির টেস্টের ফল নেগেটিভ আসলেও বৃহস্পতিবার সোয়াব পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জেলার মেডিক্যাল অফিসার (ডিএমও) ডাঃ ভি জয়শ্রী জানান যে ইদাচেরির কেসটি বিরল, কিন্তু ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘২৮দিনের আইসোলেশন কাটানোর পরও এই ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে এটাই শিখলাম। এই ঘটনা প্রমাণ করল যে ভবিষ্যতে কোনও ব্যক্তির রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও তা পজিটিভ হতে পারে।'
দুবাই ফেরত সবাইকে অতিরিক্ত একসপ্তাহ বাড়িতে থাকার নির্দেশ
ডিএমও আরও বলেন, ‘ইদাচেরির কেসের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে দুবাই ফেরত ও অন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অতিরিক্ত এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে। এটি সম্ভাব্য সম্প্রদায়ের সংক্রমণ রোধ করার জন্য প্রয়োজন।' প্রাথমিকভাবে যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল তাঁদের ফের দ্বিতীয় দফায় টেস্ট করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।