সিএএ–এর বিরুদ্ধে কেরলে বন্ধ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের, গ্রেফতার ২৩৩ জন
সিএএ–এর বিরুদ্ধে কেরলে বন্ধ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের, গ্রেফতার ২৩৩ জন
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে এবার সরব হল কেরল। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনগুলি একই ছাতার নীচে জমায়েত হয়ে যৌথ প্রতিবাদ কাউন্সিল গঠন করে সিএএ–এর বিরুদ্ধে বন্ধ শুরু করেছে। কেরলের বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে এই রাজ্য।
পুলিস সূত্রের খবর, আত্তিনগাল ও পেরোরকাদায় দু’টি কেএসআরটিসি বাসে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। যদিও এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। বন্ধ সমর্থনকারীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করে সচিবালয়ের দিকে যাওয়া শুরু করলে পুলিশ মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের ওপর জল কামান ছোঁড়ে। ডিরেক্টরেট অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের ভেতর জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতের জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্টের ন’জন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ এরই মধ্যে প্রতিরোধ আইনের আওতায় ২৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সিএএ–এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্ধ সমর্থকরা। মালাপ্পুরাম পুলিশ এই ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেফতা করেছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডেপুটি এসপি বাসুদেব বলেন, 'কিছুজনকে প্রতিরোধ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের হেফাজতে নিয়েছি কারণ তারা সাধারণ মানুষের চলাচলে হস্তক্ষেপ করছিল। হরতাল সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ক্ষতি করেছে তারা।’
পোন্নানি জেলায় পুলিশ ১৪ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্য। বিক্ষোভকারীরা পোন্নানিতে এক লরিকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। এই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি বিক্ষোভকারীরা ছমরাবত্তম ও নারিপারাম্বাতে রাস্তা অবরোধ করে যাত্রীদের হুমকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারারা রাস্তা আটকে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। যার ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তাতেই আটকে পড়ে গাড়ি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের গ্রেফতার করেছে।
কেএসআরটিসি এলাকায় বাস পরিষেবা দিলেও, তা যথেষ্ট নয় পড়ুয়াদের জন্য। তাদের স্কুলে পরীক্ষা দিতে যেতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বেসরকারি বাসগুলিকে এই পরিস্থিতিতে রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পড়ুয়ারা তাদের অভিভাবকদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছে। যদিও এই বন্ধকে সমর্থন করছে না ব্যাপারি ব্যবসায়ী একোপানা সমিতি। তারা ভাঙচুর ও হিংসাত্মক ঘটনার আতঙ্কে অর্ধেকেরও বেশি দোকান বন্ধ করে রেখেছে। যদিও এসডিপিআই সদস্যদের দাবি, কেরলে বন্ধ সফল হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এই বন্ধকে সমর্থন করেছে।
গত ছয় বছরে এই প্রথমবার খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সর্বাধিক, বাড়ছে শাক–সবজির দাম