শক্তি বৃদ্ধি বাম জোটের! কয়েক দশকের শরিকি সঙ্গ ছেড়ে লাল ঝান্ডার ছত্রছায়ায় কেরল কংগ্রেস
কেরলের রাজনীতিতে বড় হেরফের। কয়েক দশকের শরিকি সম্পর্ক ছেদ করে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) জোট থেকে বেরিয়ে এল কেরল কংগ্রেস (এম)। দলটির প্রধান হোসে কে মণি এরপর বাম দলগুলির লেফ্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ) জোটে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেন।
কংগ্রেসের ছত্রছায়া ছেড়ে বাম ফ্রন্টে দল
প্রসঙ্গত, কেরল কংগ্রেস প্রধান কে মণি ইউডিএফ-এর সমর্থনেই রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। এর আগে টানা ৩৮ বছর ধরে কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় ইউডিএফ জোটের অংশ ছিল দলটি। তবে ইউডিএফ জোটে মণির বিরোধী পক্ষ যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের উপর ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন তিনি।
কংগ্রেসের ছত্রছায়া ছেড়ে বামফ্রন্টে দল
কেরল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা কেএম মণির মৃত্যুর পরই দলটি ভেঙে গিয়ে দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একটি অংশের মাথায় বসেছিলে হোসে মণি। অন্যটির নেতৃত্বে ছিলেন পিজে জোসেফ। এই পিজে জোসেফের গোষ্ঠীর সঙ্গে কংগ্রেস হাত মেলানোয় ইউডিএফ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন হোসে মণি। এর সঙ্গেই ৩৮ বছরের বন্ধুত্বে উতি টানেন তিনি।
ইউডিএফ-এর বিরুদ্ধে তোপ
এদিকে কংগ্রেস শিবির ছেড়ে বাম শিবিরে যোগ দিয়েই ইউডিএফ-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হোসে মণি। তিনি দাবি করেন এই নয়া জোটের ফলে কেরলের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। এদিকে কোট্টায়াম থেকে কেরল কংগ্রেস (এম)-এর লোকসভার সাংসদ থমাস চাজিকাদান ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেন। এর জেরে মণির নিজের দলেই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
যা বললেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন
এদিকে কেরল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর বক্তব্য, এলডিএফ-এ কেরল কংগ্রেসের যোগদান রাজ্যের রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এবং পরবর্তীতে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির রাজনৈতিক অঙ্গিকার আরও বেশি শক্তিশালী হবে এতে।
বামফ্রন্টের মূল লক্ষ্য
আদতে কেরল কংগ্রেস মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী একটি দল। মধ্য ট্র্যাভাঙ্কোরে এই দলটি বেশি শক্তিশালী। এবং গত লোকসভার খারাপ ফলের পর রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের মনজয় করতে চাইছে বাম দলগুলি। তাদের মনে হয় কেরল কংগ্রেসে এলডিএফ-এ যোগদান তাদের সেই ভোটব্যাঙ্কটাকে সমৃদ্ধ করবে।
লাদাখ নিয়ে চিনা অজুহাত নস্যাৎ ভারতের, বেজিংয়ের গালে নয়াদিল্লির 'তিন' থাপ্পড়