অসমের ঐতিহ্যশালী মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে খুন জুনিয়র মহিলা ডাক্তার, গ্রেফতার ওয়ার্ডবয়
পুলিশসূত্রের খবর আইসিইউ-এর ওয়ার্ডবয়ের মুখে আঁচড়ের দাগ ছিল। পুলিশের অনুমান, ২৪ বছরের সরিতা তিশনিওয়ালকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালেও সরিতার বারবার আক্রমণের ফলে সেই চেষ্টায় অসফল হয় ওই ওয়ার্ডবয়। এর পরে আক্রোশের জেরে চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত ছুড়ি দিয়ে সরিতার গলা কেটে দেয় সে।
এএমসিএইচ-এ 'অবস্ট্রেটিক' এবং 'গাইনোকলজি' বিষয়ে এমডি কোর্স করছিলেন সরিতা। ওই কলেজেরই আর এক ডাক্তারি ছাত্র রোশন আগরওয়ালও পিজি কোর্স করছিলেন। রোশনের সঙ্গে আগামী ৭ জুলাই সরিতার বিয়ে ঠিকও হয়ে গিয়েছিল। সরিতা শিবসাগর জেলার বাসিন্দা ছিলেন। সরিতার মা বিয়ের কেনাকাটার জন্য রাজস্থানে গিয়েছিলেন।
ডিব্রুগড় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত তীরু মেক স্বীকার করেছে যে সেই সরিতাকে খুন করেছে। তীরু পুলিশকে জানিয়েছে, তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার জন্যই সরিতাকে খুন করেছে সে।
পুলিশসূত্রের খবর, সকাল ৮টা নাগাদ আইসিইউ-র একটি বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় সরিতার দেহ প্রথমে দেখতে পান কয়েকজন নার্স। ডাক্তারদের বিশ্রামকক্ষ লাগোয়াই ছিল। হাসপাতালসূত্রের খবর, গতকাল রাত ১০ টা থেকে সরিতার ডিউটি ছিল। ভোর ৫ টা নাগাদ বিরতির জন্য আইসিইউ লাগোয়া বিশ্রামকক্ষে যান তিনি। তীরুকে গ্রেফতার করলেও এর পিছনে আরও কারোর হাত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার জেরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন এএমসিএইচ-এর জুনিয়র ডাক্তাররা। এমর্মে কর্মকর্তাদের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তাঁরা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯৭৩ সালে মুম্বই হাসপাতালে জুনিয়র নার্সকে ওয়ার্ড বয়ের ধর্ষণের ঘটনায় স্মৃতিই যেন ফিরে এল এদিন। অরুণা সানবাগ বলে ওই জুনিয়র নার্সকে ধর্ষণ করে গলায় লোহার চেন পেঁচিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল ওয়ার্ডবয়। ওই ঘটনার পর থেকে নির্জীব হয়ে পড়ে রয়েছেন অরুণা।