বদলে যাচ্ছে মার্কিন অভিবাসন নীতি, বাইডেনের হাত ধরে হাসি ফুটতে চলেছে ভারতীয়দের মুখে
বাইডেন অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলি অ্যামেরিকান মূল্যবোধের উপর একটি 'নিরলস হামলা'বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি সীমান্ত সংক্রান্ত সুরক্ষা বজায় এই 'বিষয়টিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন'। যে ১১ মিলিয়ন মানুষ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনি ভাবে রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কর্মী হিসেবে বা গ্রাহক হিসেবে অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত করার জন্য বাইডেন আইনি অভিবাসনের বিষয়টিকে বৃদ্ধি করতে চাইছেন।
ফের চালু হবে এইচ১বি ভিসা
নির্বাচনী প্রচারের সময়ই জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ফের চালু করবেন এইচ১বি ভিসা। এবার জানা গেল, জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে আসার আগেই বদল হতে চলেছে এইচ১বি ভিসার নিয়মাবলী। আগের লটারি পদ্ধতিতে বদল এনে এবার থেকে দক্ষতা ও পারিশ্রমিকের নিরিখে ভিসা ইস্যু করা হবে বলে জানানো হল মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফে। পাশাপাশি দেশ প্রতি অভিবাসন নীতিতেও বদল আনা হবে। আগে প্রতিটি দেশ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে ভিসা দেওয়া হত বলে পিথিয়ে পড়ত ভারতীয় অভিবাসন আবেদনকারীরা।
প্রতি বছর আমেরিকা ৮৫ হাজার এইচি১বি ভিসা ইস্যু করে
প্রতি বছর আমেরিকা ৮৫ হাজার এইচি১বি ভিসা ইস্যু করে৷ যার মধ্যে তিন চতুর্থাংশই পান ভারতীয়রা, যারা প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কাজ করেন। ২০০৪ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এইচ১বি ভিসা ইস্যুর যে ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে, তা অনুযায়ী ৫ লক্ষ ভিসা ভারতীয়দেরই দেওয়া হয়েছে৷ যার মধ্যে এদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। আমেরিকার ৩ মিলিয়ন প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভিসাধারীদের সংখ্যা অন্তত ৭ লক্ষ ৫০ হাজার। আর এই প্রবাসী ভারতীয়রাই বর্তমানে আমেরিকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠছে।
ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যসঙ্গী আমেরিকা
পণ্য ও পরিষেবায় আমেরিকা ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যসঙ্গী। দক্ষ শ্রমশক্তি হিসাবে আমেরিকার ভারতীয় সংস্থাগুলিতে ভারত থেকে আসা এইচ১বি ভিসাধারীদের সংখ্যা হঠাৎ করে কমিয়ে দিলে অবশ্যই তার প্রভাব পড়বে৷ প্রভাব দেখা যাবে আমেরিকার অর্থনীতির প্রযুক্তি, অর্থ ও উৎপাদনক্ষেত্রে। করোনা প্যানডেমিকের প্রভাবে আমেরিকার বিপর্যস্ত অর্থনীতির হাল ফেরাতে নেওয়া যে কোনও জাতীয় উদ্যোগই এই ৩টি ক্ষেত্র অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কাজেই আমেরিকায় অর্থনীতিকে সচল করে তুলতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বদল অত্যন্ত জরুরি ছিল।
বাইডেনের প্রতিশ্রুতি
এদিকে বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে সরকারি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করে যোগাযোগ রাখবেন। আর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর আবার যোগদান করবে। বাইডেন ফেডারেল সরকারের হাতে খরচের ভার রাখার পক্ষে। যে খরচের মাধ্যমে ব্যবসা ও ব্যক্তি এবং প্রদেশ ও স্থানীয় সরকারগুলিকে সাহায্য করা যাবে। কারণ, এই প্যানডেমিকের জেরে সমস্যায় পড়েছে এরা।