পাকিস্তানি নৌকায় হানা দিয়ে ৩৫০ কোটির হেরোইন উদ্ধার, এনসিবির পর সাফল্য আইএসজি-এটিএসের
একদিন আগেই কোচিতে একটি জাহাজ থেকে ২০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ১২০০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করেছিল। শনিবার গুজরাত থেকে আরও ৫০ কেজি অর্থাৎ ৩৫০ কোটি টাকার হোরাইন বাজেয়াপ্ত করা হল।
একদিন আগেই কোচিতে একটি জাহাজ থেকে ২০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ১২০০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করেছিল। শনিবার গুজরাত থেকে আরও ৫০ কেজি অর্থাৎ ৩৫০ কোটি টাকার হোরাইন বাজেয়াপ্ত করা হল। গুজরাত অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানি নৌকা থেকে তা উদ্ধার করে।
ভারতীয় কোস্ট গার্ড বা উপকূলরক্ষী বাহিনী মাঝ সমুদ্রে পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকার ছ-জন সদস্যকে আটক করেছে। তাদের নৌকা থেকে মিলেছে ৫০ কোটি হেরোইন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। এটিএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মাঝ সমুদ্র দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচা চক্র সক্রিয় রয়েছে। সেই খবর ছিল ভারতের কোস্ট গার্ডের কাছে। সেইমতো অভিযান চালিয়ে কোচিতে ১২০০ কোটির হেরোইনের পর গুজরাতে ৩৫০ কোটির হেরোইন উদ্ধার হল।
ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড (আইসিজি) ও গুজরাতের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) পাকিস্তান নাগরিক সন্দেহে মাদক পাচারে যুক্ত৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে মুম্বই ও গুজরাত থেকে ১২০ কোটি টাকার মেফেড্রোন ড্রাগ আর কোচি থেকে ২০০ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রথম ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পাইলট-সহ ৬ জন ও দ্বিতীয় ঘটনায় ৬ জন ইরানিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের একটি ড্রাগ পাচার চক্রের হদিশ পেয়েছে এনসিবি। আবারও গুজরাত সংলগ্ন সমুদ্র থেকে হেরাইন উদ্ধারের ঘটনায় পাকিস্তানি যোগ পেল আইসিজি ও এটিএস।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর একটি অভিযানে এটিএস ও আইএসজি আধিকারিকরা ৬ পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪০ কেজি নিষিদ্ধ ড্রাগ। প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ড্রাগ ছিল ৪০টি প্যাকেটে। মোট ২২ জন পাকিস্তানি নাগরিক এখনও পর্যন্ত সাতটি চোরাচালানে ধরা পড়েছে। ৬০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১২২৮ কোজি হেরোইন ও অন্যান্য ড্রাগ উদ্ধার হয়েছে।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় বিগত তিন-চারদিনে মুম্বই এবং গুজরাট থেকে ৬০ কেজি মেফেড্রোন ড্রাগ উদ্ধার করে। আর কোচি থেকে উদ্ধার করে ২০০ কেজি হেরোইন। ৬০ কেজি মেফেড্রোন ড্রাগের বাজারমূল্য ১২০ কোটি টাকা। আর ২০০ কেজি হেরোইনের বাজারমূল্য ১২০০ কোটি টাকা। মোট তিন রাজ্য থেকে ১৩২০ কোটি টাকার ড্রাগ উদ্ধার হয়। এদিন আবার ৩৫০ কোটি টাকার হেরোইন। অর্থাৎ তিনদিনে ১৬০০ কোটির বেশি টাকার গ্রাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।