গালওয়ানের পর ফোকাসে প্যাংগং সো! চিনা আগ্রাসন প্রতিহত করতে সেনা বৃদ্ধি ভারতের
মঙ্গলবার থেকে গালওয়ান ভ্যালির নিকটবর্তী এলাকায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সীমান্ত ইশুতে আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার সকালেও আলোচনা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। সেখানে আর কোনও সংঘর্ষ চায় না বলে চিনের তরফেও জানানো হয়েছে।
সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চিন
কিন্তু স্যাটেলাইট চিত্র বলছে অন্য কথা। গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ক্রমেই সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চিন। নির্মাণকাজের জন্য কাঁচামাল মজুত করা হচ্ছে, সেই ছবিও দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি প্যাংগং সো-তে চিনা সেনার বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে যেকোনও মূল্যে প্যাংগং সো নিজেদের কাছে রাখতে মরিয়া ভারতও সেখানে সেনা পাঠিয়েছে।
ক্রমশ উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত
ক্রমশ উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত। লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তারপর থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে একের পর এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার তৃতীয়বার উভয় দেশের সেনার মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনা হয় মেজর জেনেরাল স্তরেও। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে আসে ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায়, সেই লক্ষ্যেই এই আলোচনা বলে সেনার তরফে জানানো হয়।
চিনের সমঝোতা ভঙ্গ
সূত্রের খবর, আগের বেশ কয়েকটি আলোচনায় ঠিক হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দু'পক্ষের জওয়ানরাই সরে দাঁড়াবে। এবং ওই এলাকাকে নো ম্যানস ল্যান্ডে পরিণত করা হবে। কিন্তু তারপরও ভারতীয় ভূখণ্ডে প্যাট্রল পয়েন্ট ১৪-তে চিন সেনা ঘাঁটি গাড়তে শুরু করে। মোতায়েন করতে থাকে আরও বাহিনী। জানা গেছে, পিপল লিবারেশন আর্মির এই ৮০০ জন জওয়ানের একাংশই সোমবার গালওয়ানে ভারতীয় জওয়ানের উপর হামলা চালায়। যাতে শহিদ হন ২০ জন জওয়ান।
গালওয়ান উপত্যকায় আরও বাহিনী মোতায়েন
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, গালওয়ান উপত্যকায় আরও বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করেছে চিনের সেনা। বেশ কয়েকবার গাড়ি যাতায়াত করতেও দেখা গেছে। ওই গাড়িগুলিতে চিনের সেনা জওয়ানরা যাতায়াত করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁবু তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।
গালওয়ানের তাৎপর্য
১৯৬২ সালে এখানেই কিন্তু দু'দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। চিন ও ভারতের মধ্যে যে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল আছে, অর্থাৎ, এলএসি, ঠিক সেখানে। সীমান্তের অন্য দিকে কাশ্মীরের সেই অংশটি যাকে আকসাই চিন বলা হয়। খুব দুর্গম জায়গা, সারা বছর প্রচণ্ড শীত, এখনকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই কঠিন। কাজেই দীর্ঘ দিন ধরে যুদ্ধ কারও পক্ষেই অসম্ভব। কাজেই গুরুত্বটা স্ট্র্যাটেজিক।
যুদ্ধের আশঙ্কা
তবে মনে হয় না এখনই পরিস্থিতি পুরোপুরি যুদ্ধের দিকে বাঁক নেবে। ইতিমধ্যেই দু'দেশে সামরিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে কী ভাবে এই সংঘাত বন্ধ করা যায়। চিনও প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে তারা চায় না যে সীমান্তে সংঘর্ষ চলতে থাকুক। চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর ফোনে আলোচনা হয়েছে। এগুলো ইঙ্গিত যে আরও বড় মাপের সংঘাতের দিকে গড়ানোর সম্ভাবনা কম। তবে এটাও ঠিক যে চিন-ভারত সমস্যা সহজে মিটবে না। আপাতত ঝামেলা চলতেই থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে।
লাদাখের যুদ্ধ এখন দেশের বাজারে! চিনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিশেষ সর্ত বণিক সমাজের