ট্রাম্পের জেরুসালেম ঘোষণায় ভারতের অবস্থান কী, জানাল নয়াদিল্লি
জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী করার মার্কিন ঘোষণার সঙ্গে সহমত নয় ভারত। স্পষ্ট জানাল নয়াদিল্লি।
ভারতকে অভিন্ন হৃদয় বন্ধু হিসাবে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক দশকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এক নতুন পথে ধাবিত হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যু থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিশ্বের বৃহত্তম দুই শক্তিধর দেশ সবসময়ে একে অপরকে পাশে পেয়ে এসেছে। তবে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন বিতর্কে সমর্থনের হাত বাড়াল না নরেন্দ্র মোদীর ভারত।
জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী করার মার্কিন ঘোষণার সঙ্গে সহমত নয় ভারত। স্পষ্ট জানাল নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, প্যালেস্তাইন নিয়ে ভারতের অবস্থান নিরপেক্ষ ও দৃঢ়। তৃতীয় কোনও দেশের অবস্থানের প্রেক্ষিতে তার বদল হবে না।
জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ফের একবার আরব দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। গতবছরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেই ইজরায়েলের রাজধানী হিসাবে জেরুসালেমকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। এদিন সেই ঘোষণার মাধ্যমে নিজের প্রতিশ্রুতি রেখেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে প্রথমবার ইহুদী রাষ্ট্র ইজরায়েলে দূতাবাস তৈরি করে ভারত। এদিন যেভাবে ভারত সরাসরি আমেরিকার সিদ্ধান্তকে সমর্থন না করে নিজস্ব অবস্থান নিয়েছে তাতে ভারতের অবস্থান আগামিদিনে বদলের কোনও আশা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে ভারত সফরে আসছেন ইজরায়েলর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। সেদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দারুণ ভালো। তবে তার অর্থ এই নয় যে ট্রাম্পের নীতিকে ভারতের সমর্থন করতে হবে।
ভারত বরাবর প্য়ালেস্তাইনের শান্তি স্থাপন নিয়ে কথা বলে এসেছে। যার ফলে দুইদেশের শান্তি স্থাপনের আলোচনায়ও ভারত আগ্রহ দেখিয়েছে। গত সপ্তাহে প্যালেস্তাইন ও ইজরায়েলের শান্তিপূর্ণ অবস্থান চেয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে চিঠিও দিয়েছে ভারত। এমনকী নানা খাতে প্যালেস্তাইনকে উন্নয়নমূলক সাহায্যের অফারও দেওয়া হয়েছে।