অবস্থানে অনড় চিন, আকসাই-চিনে সেনা বাড়াল বেজিং! জমি ছাড়তে নারাজ ভারতীয় সেনা
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বুধবার শান্তিপূর্ণ ভাবে কথা বলে বিবাদ মেটানোর কথা বলা হলেও চিন এখনও সীমান্তে তাদের সেনাকে পিছু হটার নির্দেশ দেয়নি। এর জেরে ক্রমেই আরও উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি ভারতীয় সেনাও তাদের স্থানে অনড়।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় তৈরি সমস্যা
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারকে কেন্দ্র করে একাধিক জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়ের জেরে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে। চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় তৈরি হওয়া সমস্যা সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আকসাই চিনে সেনা বৃদ্ধি বেজিংয়ের
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দুই দেশের তরফেই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে মনে করা হয়েছিল যে শান্তির বার্তা দেওয়ায় সেনা কমাবে চিন। তবে পূর্ব লাদাখসহ গালওয়ান নালা এলাকায় এবং প্যাঙগং লেকের উত্তর দিকে অন্তত পাঁচটি এলাকায় প্রায় আরও চিনা সেনা মোতায়েনের খবর আসতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। যানা গিয়েছে আকসাই চিন অঞ্চলেও চিন সেনা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর হাই প্রোফাইল মিটিং
চিনের সঙ্গে এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী মোদী সেনা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেনাপ্রধান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সেই বৈঠকে ছিলেন আরও তিনজন। যারা তিন বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন। এরা হলেন জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর।
বিবাদের সূত্রপাত
গত বছর তৈরি করা ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরি করেছিল ভারত। তা নিয়েই চিনের মূল আপত্তি৷ চিনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷
গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চিনের
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারের জটিলতার জেরে উভয় দেশই ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে তাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি এবং এর অন্তত ছয় দশক পরও সম্পর্কে সেই অস্বস্তি চলছে। এদিকে এরই মধ্যে লাদাখের প্যাঙগং লেক থেকে ২০০ কিমি দূরে গারি গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে চিন।