দিল্লি আছে দিল্লিতেই! ধর্ষণ দ্বিগুণ, শ্লীলতাহানি পাঁচগুণ বেড়েছে এক বছরে
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটি চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয়েছিল নির্ভয়াকে। তার সঙ্গীকে বেধড়ক মারা হয়েছিল। ঘটনার কিছুদিন পর হাসপাতালে মারা যায় মেয়েটি। এর জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সারা দেশ। পুলিশি ঢক্কানিনাদে মানুষ ভেবেছিলেন, এবার দিল্লি 'ধর্ষণনগরী' থেকে বোধ হয় 'শান্তিনগরী' হয়ে উঠল! কিন্তু, বাস্তব ছবি বলছে উল্টো কথা।
২০১২ সালে দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ৭০৬টি। আর চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৪৯৩টি। অর্থাৎ দ্বিগুণ। ২০১২ সালে শ্লীলতাহানি হয়েছিল ৬২৫টি। ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শ্লীলতাহানি হয়েছে ৩২৩৭টি। অর্থাৎ এক বছরে শ্লীলতাহানি বৃদ্ধির হার পাঁচগুণ। ২০১২ সালে ইভ-টিজিংয়ের সংখ্যা ছিল ১৬৫টি। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৮৫২টি। উদ্বেগের বিষয়, ইভ-টিজিং ও শ্লীলতাহানির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে জনবহুল জায়গায়, যেমন দোকান-বাজার, শপিং মল, বাসে। দিল্লি পুলিশের অবশ্য দাবি, নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে, এই সরলীকরণ ঠিক নয়! বরং মেয়েরা এখন অনেক সাহসী হয়ে উঠেছেন। যৌন নির্যাতনের ঘটনা তাঁরা মুখ বুজে সহ্য করছেন না। পুলিশের কাছে এসে আরও বেশি-বেশি করে অভিযোগ করছেন। তাই আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে নারীঘটিত অপরাধের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে!
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) দেখিয়েছে, কীভাবে বছরের পর বছর দিল্লিতে মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে। ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ এবং ২০১১ সালে এখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল যথাক্রমে ৪৬৬, ৪৬৯, ৫০৭ এবং ৫৭২টি। একইভাবে বছরের পর বছর লাগাতার বেড়েছে শ্লীলতাহানি ও ইভ-টিজিংয়ের ঘটনা। ব্যাঙ্গালোর, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদের ছবি কিন্তু এত খারাপ নয়। দিল্লিই শুধু ব্যতিক্রম হয়ে থাকছে।