ভ্যাকসিনের দেখা নেই, ফ্লুয়ের টীকাতেই করোনা রোধের চেষ্টা দেশবাসীর
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে এখনও ভ্যাকসিন বাজারের দেখা নেই। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন এখনও হিইম্যান ট্রায়ালের তৃতীয় স্টেজে রয়েছে। তবে সেগুলিও কবে বাজারে আসবে তার ঠিক নেই। এহেন অবস্থায় অধিকাংশ মানুষ এবার ফ্লুয়ের টীকা নিয়ে করোনা রোধের চেষ্টা করছেন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এর আগেও সরকারের তরফে ফ্লুয়ের টীকার ব্যবস্থা করা হত প্রতি বছর। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাব ভারতে সেভাবে না থাকায় অধিকাংশ ভারতীবাসী সেই ভঅযআকসিন নিতেন না। বা অনেকেই হয়ত এই ভ্যাকসিনের অস্তিত্বই জানতেন না। তবে করোনা কালে প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসকদের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিনই নিচ্ছেন বহু মানুষ।
এবং এইমস মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান নবীত উইগ জানাচ্ছেন, করোনা রোধে সরাসরি সাহায্য না করতে পারলেও পরোক্ষ ভাবে এই ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন সাহায্য করবে একটি রোগীকে। এবং চিকিৎসকের এহেন পরামর্শতেই আরও বেড়েছে ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা।
এবছর বিশ্বের উপর চেপে বসেছে করোনা ভাইরাস। ইনফ্লুয়েঞ্জার সমগোত্রীয় না হলেও রোগের ধরনে মিল আছে। আবার করোনার কোপে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি তথা ভাইরাল ফ্লুয়ের সব উপসর্গই পরপর দেখা দেয়। করোনা ভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যে একসঙ্গে শরীরে হানা দেবে না, সে গ্যারান্টি নেই।
এই পরিস্থিতিতে তাই এই বছরটা ফ্লু ভ্যাকসিনের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার জ্বর আর ইনফ্লুয়েঞ্জার জ্বরের মধ্যে খুব একটা তফাৎ নেই। শুরুতে কোভিড সংক্রমণকে ভাইরাল ফ্লু বলেও গুলিয়ে ফেলছিলেন ডাক্তাররা। এই অবস্থা করোনা টীকার অভাবে সাধারণ মানুষজন ফ্লুয়ের ভ্যাকসিনের উপরই ভরসা রাখছে।
{quiz_399}