বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে বড় কূটনৈতিক জয় নয়াদিল্লির! চিনকে দূরে ঠেলে ভারতের পাশে জাপান
লাদাখে চিন নিজেদের বাহুবল দেখিয়ে ভারতকে কাবু করবে ভেবেছিল। তবে বেজিংয়ের সেই আশায় জল ঢেলেছে ভারতীয় সেনার অদম্য ইচ্ছে। এরই মাঝে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত সমর্থন পেয়েছে চিনের দখলদারি মানসিকতার বিরুদ্ধে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল জাপানের নাম।
ভোরেই লেহ-র নিমুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী
এদিন ভোরেই লেহ-র নিমুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। বায়ুসেনা, আটিবিপি-র সঙ্গে কথা বলেন মোদী। সেনা আধিকারিকরা পরিস্থিতির কথা জানান তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সিডিএস বিপিন রাওয়াত পূর্ব লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেবেন প্রধানমন্ত্রীকে।
ভারতের পাশে জাপান
এই সফরের বিষয়ে লিখতে গিয়েই ভারতের প্রশংসা করেন ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি। তিনি এদিন এক টুইট বার্তায় লেখেন, বিদেশ সচিব শ্রিংলার সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। লাদাখের এলএসি নিয়ে ভারতের শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছার আমি প্রশংসা করি। জাপানও এই অশান্ত পরিস্থিতি যাতে মিটে যায়, তা চায়। জাপান কোনও ভাবেই কোনও একটি শক্তির জোর জবরদস্তির জেরে ভৌগলিক মানচিত্রের বদলের পক্ষে নয়।
ভারত-জাপানের যৌথ মহড়া
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জাপানের সঙ্গে মিলে ভারতীয় মহসাগরে যৌথ মহড়া দেয় দুই দেশের নৌবাহিনী। দক্ষিণ চিনের খুব কাছেই দুই দেশের এই নৌবাহিনীর মহড়া নিশ্চিত ভাবে রক্তচাপ বাড়িয়েছে চিনের। লাদাখ নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই চিনকে চাপে রাখতে ভারতের এই যৌথ মহড় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনের উপর চাপ সৃষ্টি
ভারতের তরফে আইএনএস রানা, আইএনএস কুলিশ ও জাপানের তরফে জেএস কাশিমা ও জেএস শিমায়ুকি। এই মহড়াতে অংশগ্রহণ করে। সেই সময়ও ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই যৌথ মহড়ার ছবি পোস্ট করে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার পেশ করেছিলেন।
চিনা অ্যাপ ব্যান করেও খান্ত হয়নি ভারত! বেজিংয়ের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে কোন পদক্ষেপ দিল্লির