লকডাউন বাড়লে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের ব্যবসা
লকডাউন বাড়লে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের ব্যবসা
২১ দিনের লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়া হলে প্রায় ২০ মিলিয়ন বা এক–চতুর্থাংশের বেশি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) দোকান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইকোনমিক টাইমস গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর মাস এন্টারপ্রেনারশিপ (গেম) এর চেয়ারম্যান রবি ভেঙ্কটেসনের মতে, লকডাউনটি যদি চার থেকে আট সপ্তাহের বাইরে চলে যায় তবে এমএসএমইগুলির প্রায় ১৯% থেকে ৪৩% দোকান বন্ধ রাখতে পারে। কারণ তাদের বেশিরভাগই অর্থ সঙ্কটের মুখোমুখি হবে।
এমএসএমই গায়েব হয়ে যেতে পারে
সারা ভারত উৎপাদনকারী সংগঠনের থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে ভেঙ্কটেসন বলেন, ‘৪ বা ৮ সপ্তাহ যদি এই সঙ্কট আরও চলে তবে ১৯ শতাংশ থেকে ৪৩ শতাংশ এমএসএমই গায়েব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।' ভেঙ্কটেসন, যিনি ইনফোসিসের প্রাক্তন সহ-চেয়ারম্যান ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদার চেয়ারম্যান, তিনি জানান, এই সঙ্কটের সময় গেম ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষুদ্র ব্যবসায় স্থিতিশীল তহবিল তৈরি করেছে যা ছোট ব্যবসায়ীদের সাহায্য করবে। এই তহবিল, যা সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ছোট ব্যবসাগুলিতে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করতে ব্যবহৃত হবে। ছোট ব্যবসায়ীরা এই জাতীয় ঋণ পরিশোধের জন্য তিন মাস পর্যন্ত স্থগিতাদেশ পেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ্য যে এমএসএমই ক্ষেত্র, যেখানে ভারতের ৯০ শতাংশেরও বেশি চাকরি তৈরি হয়, তা এই লকডাউন দীর্ঘকালিন চললে বিরাট অংশের চাকরি খোয়াতে পারেন মানুষ। এন্টারপ্রিনারস জানিয়েছে, এই লকডাউনের জন্য প্রত্যেকটি ক্ষেত্র থেকেই কাজ খোয়ানোর ঘটনা ঘটেছে। ভেঙ্কটেসন জানিয়েছেন, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে ৪ কোটি মানুষ কাজ করেন, সেখানে ১.২ কোটি চাকরি হারানোর ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু মাত্র এই সঙ্কটের কারণে। খুচরো ইন্ডাস্ট্রিতেও হাল এক। যেখানে ৪.৬ কোটি মানুষ কাজ করেন, বর্তমান সময়ের জন্যও সেখানেও ১.১ কোটি চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারের সঙ্গে আলোচনা
গেম জানিয়েছে, কোভিড-১৯-এর মহামারির জন্য দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি রয়েছে যার জেরে এমএসএমইগুলির গণ বিলুপ্তি ঘটতে পারে, তা রোধ করতে ও সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সরকাররে সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনায় বসা হবে। ভেঙ্কটেসন জানিয়েছেন যে ব্যবসার তীক্ষ্ণ পতনের কারণে ছোট ব্যবসাগুলি অর্থ সঙ্কটের মতো প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।