তরুণীর দেহ সকালে পোড়ানোর কথা জেলা শাসককে বলেছিলাম, শোনেননি, দাবি হাথরাসের বিজেপি সাংসদের
তরুণীর দেহ সকালে পোড়ানোর কথা জেলা শাসককে বলেছিলাম, শোনেননি, দাবি হাথরাসের বিজেপি সাংসদের
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে গণধর্ষিতা দলিত তরুণীকে বুধবার গভীর রাতে তাঁর শেষকৃত্য করার জন্য বিতর্কের মুখে রাজ্যের পুলিশ। এরই মধ্যে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ রাজবীর দিলের ২০ বছরের তরুণীর শেষকৃত্য কিভাবে হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এক
সংবাদমাধ্যমের
সঙ্গে
কথা
বলতে
গিয়ে
দিলের
জানান,
তিনি
জেলা
শাসককে
জানিয়েছিলেন
যে
সকালে
শেষকৃত্য
করা
হোক,
কিন্তু
তিনি
তাঁর
কথা
শোনেননি।
সাংসদ
বলেন,
'শেষ
দু’দিন
আমি
তরুণীর
পরিবারের
সঙ্গে
গ্রামেই
রয়েছি।
শেষকৃত্যের
সময়
জেলা
শাসক,
এসপি
সেখানে
উপস্থিত
ছিলেন।
আমিও
সেখানে
ছিলাম,
কিন্তু
এখানে
ঝামেলা
হতে
পারে
ভেবে
আমায়
পুলিশ
থানায়
চলে
যেতে
বলে।’
তিনি এও দাবি করেন, 'আমি জেলা শাসককে তরুণীর শেষকৃত্য সকালে করার জন্য বলি, কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি। পুলিশও আমায় শেষকৃত্যের বিষয়ে কিছুই জানায়নি।’ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তরুণীকে ওই রাতে পোড়ানোর সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিল, এ প্রসঙ্গে হাথরাসের সাংসদ জানান যে জেলা শাসক ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং পরবর্তী ঝামেলা এড়ানোর জন্য তিনি হয়ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'সেখানে বহু সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপি কর্মীরা ছিলেন, কিন্তু আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যে জেলা শাসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক।’ ওই সাংসদ আরও বলেন, 'আমার সাংসদ হিসাবে লজ্জা করছে এবং আমি বাল্মিকী সম্প্রদায়কে বলেছি যদি আমি ওই তরুণীকে বিচার পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হই তবে আমি লোকসভা থেকে পদত্যাগ করব।’
বাল্মিকী সম্প্রদায়ের ২০ বছরের তরুণী গত ১৪ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে ক্ষেতে গিয়েছিলেন, যেখানে উচ্চ বর্ণের চারজন প্রতিবেশি তাঁকে তাঁর গলায় ওড়না জড়িয়ে বাজরা ক্ষেত থেকে টেনে নিয়ে যায় এবং গণধর্ষণ করে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করা হয় এবং তাঁর জিভও কেটে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ওই তরুণী দিল্লির সফদরগঞ্জ হাসপাতালে মারা যান।
ফের বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাহুল! বিজেপির 'অনুগত’ ভবিষ্যৎ-ভাবনায় 'স্পিকটি নট’