অক্সফোর্ডের করোনা টীকার পরবর্তী পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হচ্ছে দেশের ১৭টি হাসপাতালে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ। প্রাথমিকভাবে ১৭টি ক্লিনিককে বেছে নেওয়া হয়েছে। অগাস্টের শেষের দিকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, এমন ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হবে অক্সফোর্ড - অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন।
১৭টি হাসপাতালে হিইম্যান ট্রায়াল
মুম্বইয়ের প্যারলে কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল ও মুম্বই সেন্ট্রালের বি ওয়াই এল নায়ার হাসপাতাল ছাড়াও এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস), পুণের বি জে মেডিক্যাল কলেজ, পাটনার রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স।
মানবদেহে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে
বৃহন্মুম্বই পৌরনিগম ইতিমধ্যেই মানবদেহে ভ্যাকসিনের প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। গোটা দেশে সবমিলিয়ে ১০টি মেডিকেল ইনস্টিটিউটকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য। এর মধ্যে মুম্বইয়েরই দু'টি হাসপাতাল রয়েছে। সূত্রের খবর, পুণের বি জে মেডিকেল কলেজকেও বেছে নেওয়া হয়েছে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশ হিসেবে।
প্রত্যেকের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হওয়ার পরেই ভারতে এই টীকা তৈরির লাইসেন্স পায় সেরাম ইনস্টিটিউট। এরপর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষণ হয় দেশে। এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের আগে প্রত্যেকের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। তাঁদের শরীরে কোরোনার কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো সাড়া মিলেছে
অক্সফোর্ডের তৈরি এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো সাড়া মিলেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ব্রিটেনে জুলাই মাসে এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়। যাঁদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যান্সেটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে টি-সেল উদ্দীপ্ত হয়। অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ২৮ দিনের মধ্যে।
কংগ্রেস-এআইইউডিএফ জোট কী করে বদলে দিতে পারে ২১-এর অসম নির্বাচনের সমীকরণ?