বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণের জন্য কত টাকা প্রয়োজন? জেনে নিন সরকার কি বলছে
করোনা ভাইরাস টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে বিভ্রান্তিমূলক খবরের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার বলা হয়, গত ১ মার্চ থেকে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপে ভ্যাকসিনের মূল্য সহ বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বেসরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকাকরণ নয়
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিনামূল্য টিকাকরণের প্রতিশ্রুতি যেমন দিয়েছে তেমনি অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরাও এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের আর্জি জানিয়েছিলেন। তবে সরকার স্পষ্ট করে এটা জানিয়ে দিয়েছেন যে বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ মোটেও বিনামূল্যে নয়। গুজরাতের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল শনিবারই ঘোষণা করেছেন যে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে ২৫০ টাকায় টিকাকরণ করানো যাবে।
টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া করোনা ভ্যাকসিন টিকাকরণ কর্মসূচী ১ মার্চ দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই দ্বিতীয় ভাগে দেশের প্রবীণ নাগরিক ও এক বা একাধিক রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের (৪৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে) টিকাকরণ করা হবে। সরকারি হাসপাতাল থেকে টিকাকরণের জন্য কোনও মূল্য ধার্য করা হয়নি কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত এবং অনুরূপ রাজ্য স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের আওতায় থাকা বেসরকারি সুবিধাগুলি টিকাকরণের জন্য অর্থ নেওয়া হবে।
ভুয়ো দাবি
এটারই সুযোগ নিয়ে এক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের দাবি অনুযায়ী এই টিকাকরণের জন্য ৫০০ টাকা লাগবে। যদিও এখনও মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনের মূল্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু ঘোষণা করা হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'বেসরকারি সুবিধাযুক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কেউ যদি টিকাকরণ করান তবে নির্ধারিত অর্থ তাঁকে প্রদান করতে হবে টিকাকরণের জন্য।'
বেসরকারি হাসপাতালে ২টি ভ্যাকসিন
এটা প্রথমবার যেখানে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের মতো ভ্যাকসিন মূল্য সহ বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপলব্ধ হবে। এই সিদ্ধান্তটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইঙ্গিত দেয় যে একবার অগ্রাধিকার গোষ্ঠীর টিকাদান শেষ হয়ে গেলে এই ভ্যাকসিনের পেছনে দেশের নাগরিকের কত খরচ হবে। সরকার সিরাম ইনস্টিটিউটের থেকে কোভিশিল্ড কিনেছিল প্রতিটি ডোজ ২০০ টাকায় , কর বাদ দিয়ে। সরকার কোভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজ কিনেছে ২৯৫ টাকা করে।