পেঁয়াজের দাম নিয়ে উত্তাল সংসদ, কেন্দ্রকে একযোগে তোপ বিরোধীদের
পেঁয়াজের দাম নিয়ে উত্তাল সংসদ, কেন্দ্রকে একযোগে তোপ বিরোধীদের
বিগত মাস থেকেই মাত্রাতিরিক্ত পেঁয়াজের দামে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হচ্ছিল আম-আদমির। এবার আঁচ গিয়ে পড়লো সংসদেও। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে চরমে ওঠে বাগবিতণ্ডা। বিশেষত এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে করা মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্যে পর উত্তাল হয় সংসদ।
এদিন সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন জিরো আওয়ারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুটি তোলে কংগ্রেস। এই সময়েই পেঁয়াজের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন শাকসবজি ও ডালের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেসের এই বরিষ্ঠ নেতা। কাঠগড়ায় তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে। এরপরই শুরু হয় চরম বাদানুবাদ।
এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় বলেন, “সমস্ত শাক সবজিরই আগুনঝরা দাম। বিশেষত পেঁয়াজের অতিরিক্ত দামের সঙ্গে পেরে উঠছেন না সাধারণ মানুষ। এদিকে কেন্দ্রের কেজি প্রতি ৬৭ টাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ বর্তামানে বাজারে প্রতি কেজি ১৩০-১৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।”
এদিকে কিছুদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলতে শোনা যায় "আমি নিজে দুর্নীতিতে লিপ্ত নই এবং কাউকে দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে দিই না"। বক্তব্যেরও রেশ টেনে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষের সুরে অধীর চৌধুরী বলেন, “ আপনি দেখতে পাচ্ছেন এই মুহূর্তে দেশের অবস্থা কি।নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। সরকারকে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি করতে দেখা যায় তাকে।”
এরপরই কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল তাঁর আসনে দাঁড়িয়েই উত্তেজিত হয়ে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইলে তবেই আগামীতে অধীর চৌধুরীকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত"। এরপর অধীর চৌধুরীর পূর্ববর্তী মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন এনআরসি ইস্যুতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে "অনুপ্রবেশকারী" বলেছিলেন। এজন্য তার আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত।