সরকারি কর্তব্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষাকে কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মহিলা আইএএস অফিসার
সরকারি কর্তব্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষাকে কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন হরিয়ানার মহিলা আইএএস অফিসার
সরকারী কর্তব্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষাকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করে হরিয়ানা ক্যাডারের ২০১৪ ব্যাচের আইএএস কর্মকর্তা সোমবার পদত্যাগ করেছেন। কিছুদিন ধরেই এই মহিলা এই আইএএস অফিসারের পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা চলছিল। ভারতে সরকারি উচ্চপদে চাকরি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির একটি আইএএস। ২০১৪ সালে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে হরিয়ানার ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন রানি নগর। নিযুক্ত ছিলেন হরিয়ানার আরকাইভস দফতরে। তবে তিনি আর এই সরকারি উচ্চপদে থাকতে চান না। এই অফিসারের পদ থেকে বেরিয়ে যেতে চান তিনি।
পদত্যাগ পত্র পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে
সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ন ও আরকাইভ দফতরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর রানি নগর সোমবার হরিয়ানার মুখ্য সচিব কেশানি আনন্দ অরোরাকে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে অনুরোধ করেছেন যে এটা গ্রহণ করার জন্য যাতে কেন্দ্র সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পদত্যাগ পত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও।
সরকারি দায়িত্বে ব্যক্তিগত সুরক্ষা
চিঠিতে রানি নগর বলেছেন, ‘আমি এখানে খুব নম্রভাবে ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবার (আইএএস) পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য এই চিঠি পাঠাচ্ছি, যা ২০২০ সালের ৪ মে থেকে কার্যকর হবে। সরকারি দায়িত্বের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কারণেই আমি পদত্যাগ করছি।' প্রসঙ্গত গত মাসে ৩৮ বছরের ওই অফিসার ফেসবুক ও টুইটারে জানিয়েছিলেন তাঁর পদত্যাগের কথা। কিন্তু কি কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিয়ে কিছুই খোলসা করেননি। দেশজুড়ে লকডাউন জারি থাকায়, আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তিনি সরকারি দফতরে গিয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা করবেন বলেও লিখেছিলেন রানি।
সহকারি মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন
এই অফিসার আরও একবার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে হরিয়ানারই এক সহকারী মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। মহিলা কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রানি। সেই সময় তাঁর নাম জানতে পেরেছিলেন অনেকে। যদিও রানির অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন ওই সহকারি মুখ্য সচিব।