'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' এর অর্ধেকের বেশি টাকা খরচ হয়েছে প্রচারে, রিপোর্ট পেশ সংসদে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প চালু করেন ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প চালু করেন ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি। তার মূলত দুটি উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমত কন্যা সন্তান সম্পর্কে মানসিকতার বদল এবং কন্যা সন্তান ও পুত্র সন্তানের অনুপাতের পার্থক্য কমিয়ে আনা। মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে একাজে লাগানো হয়েছে।
এই নিয়ে চার বছর পরে তথ্য পেশ করেছে কেন্দ্র সরকার। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, মূলত প্রচারের পিছনেই খরচ করা হয়েছে। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে যে টাকা ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে তার ৫৬ শতাংশ টাকা প্রচারের কাজে লেগেছে।
এছাড়া ১৯ শতাংশ টাকা খরচ করা হয়নি। এছাড়া ২৫ শতাংশের কম টাকা জেলাগুলিতে পৌঁছেছে। এমনটাই লোকসভায় সরকার তথ্য আকারে প্রকাশ করেছে।
জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে সরকার ৬৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তার মধ্যে ১৫৯ কোটি টাকা জেলা বা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭০.৬৩ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে ২০১৮-১৯ সালে। প্রচারের উদ্দেশ্যেও সবচেয়ে বেশি ১৫৫.৭১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ২০১৮-১৯ সালেই।
আরও আশ্চর্যের, যে জেলা বা রাজ্য বাছা হয়েছে এই প্রচারের জন্য সেখানে কিছু জায়গায় হিতে বিপরীত হয়েছে। যেমন নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে লিঙ্গের অনুপাত ২০১৪-১৫ সালে যেখানে ৯৮৫ মেয়ে প্রতি ১ হাজার পুরুষে ছিল তা ২০১৬-১৭ সালে কমে ৮৩৯ জনে নেমে এসেছে। পুদুচ্চেরিতেও ২০১৪-১৫ সালে প্রতি হাজার পুরুষে ১১০৭ জন থেকে কমে ৯৭৬-এ নেমে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর যেভাবে এই প্রকল্প নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছিল, তাতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে সামান্য সহযোগিতা করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যেত। যা এই কয়েক বছরে মেলেনি।