জিএসটি ঘাটতি পূরণে রাজ্যগুলিকে কোন ২ টি 'অপশান' দিল কেন্দ্র! ডেডলাইন ৭ দিনের
জিএসটি ঘাটতি পূরণে রাজ্যগুলিকে কোন ২ টি 'অপশান' দিল কেন্দ্র! ডেডলাইন ৭ দিনের
প্রসঙ্গ ছিল, করোনার আবহে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বকেয়া রাখা নিয়ে রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্র কেমন আচরণ করবে। আর তাই নিয়েই জিএসটি কাউন্সিল মিট আজ পারদ চড়িয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্র ও রাজ্যের কর আদায় সংক্রান্ত আয় নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সুর চড়িয়ে ছিলে কয়েকটি বিজপি শাসিত রাজ্যও। যাদের মধ্যে নির্বাচন-মুখী বিহার অন্যতম ছিল। সেই পরিস্থিতিতে আজ এই জিএসটি কাউন্সিলের মিট ঘিরে কী জানানো হল দেখে নেওয়া যাক।
কাউন্সিলের বৈঠক ও তথ্য
'কম্পেনসেশন গ্যাপ' অর বিষয়ে রাজ্যগুলিতে সাফ জানানো হয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ অনুযায়ী একীভূত তহবিল থেকে তা দেওয়া যাবে না। ফলে জিএসটি কাউন্সিলের মিট অনুযায়ী এক্ষেত্রে ২ টি অপশন স্থির হয়েছে।
কোন কোন 'অপশান' সামনে?
প্রথম অপশান অনুযায়ী, রাজ্যগুলিকে বিশষ 'উইন্ডো' দেওয়া হবে আরবিআইয়ের সঙ্গে সংযোগের যাতে ৯৭ হাজার কোটি টাকা যুক্তিযুক্ত সুদে প্রদান করা যায়। দ্বিতীয় অপশানে বলা হয়েছে, জিএসটির বার্ষিক ২,৩৫ হাজার কোটি টাকার জিএসটি ক্ষতিপূরণ রাজ্যগুলিকে দিতে হবে আরবিআইয়ের সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে।
কাউন্সিল কী জানিয়েছে?
দুটি অপশানের তথ্য রাজ্যগুলিরে পাঠানো হবে। তার সাপেক্ষে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজ্যগুলির কাছ থেকে তথ্য জানতে চাওয়া হবে। রাজ্যকে ৭ দিনের মধ্যে এই আর্থিক বর্ষের সাপেক্ষে যেকোনও একটি অপশানে আবেদন করতে হবে।
সীতারমন কী জানিয়েছেন?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, এই প্রদেয় অর্থের অঙ্ক তাড়াতাড়ি অকবার মিটিয়ে নেওয়া গেলে বছরের বাকি অংশের ক্ষে্রে আর্থিক অবস্থার খেয়াল রাখা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, তিনি জানিয়েছেন এই অপশানগুলি শুধুমাত্র এই আর্থিক বর্ষের জন্য। পরবর্তী ক্ষেত্রে ২০২১ সালের এপ্রিলে ফের একবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
রাজ্যগুলির বেতন দিতে টানাটানি ও মমতার ক্ষোভ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বিরোধী গোষ্ঠীর বৈঠকে জিএসটি নিয়ে সোচ্চার হন। তিনি বলেন, 'আমরা ভিখারি নই। ভিক্ষা চাইছি না। এগুলি আমাদের বকেয়া পাওনা। পশ্চিমবঙ্গ এখনও কেন্দ্রের কাছ থেকে ৫৩ হাজার কোটি টাকা পায়নি। কোনও তহবিল নেই। শ্রমিকদের বেতন দেওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি।' উল্লেখ্য, বিজেপির জোট শাসিত বিহারের উপমুখ্যন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদীও অন্য একটি জায়গায় বলেন, কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যের এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে, না হলে বড় সমস্যা আসন্ন।
ভারতে কোন সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র যোগান দিচ্ছে চিন! বিস্তারবাদের নেশায় বুঁদ বেজিং