দাম্পত্য ধর্ষণ অবশ্যই অপরাধ, কেন্দ্রকে জানাল সরকারি প্যানেল
নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই : কেন্দ্র সরকারের নিয়োগ করা প্যানেল যদি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দৃঢ় থাকতে পারে তাহলে হয়তো খুব শীঘ্রই দাম্পত্য ধর্ষণ অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।
সম্প্রতি পাম রাজপুত কমিটি তাদের রিপোর্ট নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে জমা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দাম্পত্য ধর্ষণের ক্ষেত্রে স্ত্রীর বয়স এবং স্বামীর স্ত্রী যে কোনওরকমের সম্পর্ক নির্বিশেষে একটি অপরাধ বলে বিবেচনা করা উচিত।
কমিটির এই প্রস্তাব আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সোমাবার আলোচনা করা হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী দাম্পত্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে বলেছিলেন, দাম্পত্য ধর্ষণ মহিলাদের উপর একপ্রকারের হিংসা বা অত্যাচারের ঘটনা। আর তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি এও বলেছিলেন, মহিলার উপর হিংসার ঘটনা শুধু মাত্র অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি পর্যন্তই সীমিত রাখা উচিত নয়।
কিন্তু এই তত্ত্বে তীক্ষ্ম বিরোধিতা করে সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হরিভাই প্রতিভাই চৌধুরি রাজ্যসভায় বলেন, দাম্পত্য ধর্ষণের এই ধারণাটা এসেছে পাশ্চাত্যের দেশ থেকে। কিন্তু ভারতে তা প্রযোজ্য নয়। তার অনেক কারণ আছে, শিক্ষার স্তর, অশিক্ষা, দারিদ্র, সামাজিক রীতি-নীতি, ঐতিহ্য, ধর্মের প্রতি বিশ্বাস, এই সবের ফলে সমাজ বিবাহকে অত্যন্ত পূণ্য কাজ বলে মানে।
এদিকে ইউএন পপুলেশন ফান্ড-এর মতে ১৫ বছর থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশকেই মারধর করা হয় না হলে যৌন মিলনের জন্য জোর করা হয়। ২০১১ সালের একটি সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছিল পাঁচ জনের মধ্যে একজন স্ত্রী বা সঙ্গীনীকে যৌন মিলনের জন্য বলপ্রয়োগ করা হয়।
এর পাশাপাশি এই রিপোর্টে যৌতুকবিরোধি আইনে 'নির্মম'-এর সংজ্ঞার পরিধি বৃদ্ধি করে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া সব ধরণের অত্যাচারকে সংজ্ঞায় আনা হবে।