বিশ্বজুড়ে শেয়ার বিক্রির হিড়িক! সারাদিন ধরে সাপলুডোর মতো ওঠা নামা করল সেনসেক্স-নিফটি
সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিবসে বিশাল পতন দেখল দালাল স্ট্রিট। বিশ্বজুড়ে করোনা আবহে শেয়ার বিক্রির হিড়িকে নাজেহাল হয় ভারতীয় শেয়ার বাজার। যার জেরে এদিন প্রথম ধাক্কাতেই ১১০০ পয়েন্ট পতন লক্ষ্য করা যায় সেনসেক্সে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কালো ছায়া দেখা গিয়েছিল ভারতীয় শেয়ার বাজারে।
সকালে বড় ধাক্কা খায় শেয়ার বাজার
এ দিন লেনদেনের শুরু থেকেই বাজার নিম্নমুখী ছিল। এরপর দিনের লেনদেন বাড়তেই ফের উঠতে থাকে সূচক। বুধবারের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় গত দুই দিনেয় শেয়ার বাজার। গতকাল দিনের শেষে ৭০০ পয়েন্ট পতন হয়েছিল সেনসেক্সের। নিফটি গিয়ে ঠেকেছিল ৯৯০২ পয়েন্টে।
দিন গড়াতেই সামলে ওঠে দালাল স্ট্রিট
বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে দালাল স্ট্রিটের সূচক গিয়ে ঠেকে ৩৩,৫৩৮.৩৭ পয়েন্টে। সেখান থেকে এদিন সেনসেক্স নেমে যায় ৩২,৪৩৬.৬৯ পয়েন্টে। পরে সেই সূচক উঠে ৩৩,৫৬০ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়। এদিকে বাজারের এই নিম্নমুখী গ্রাফেও নিজদের দাম ধরে রেখে লাভের মুখ দেখে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি ও সান ফার্মা।
যেসব শেয়ার এদিন লোকসানের মুখ দেখে
এদিন ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্ক, ওএনজিসি, কোটাক ব্যাঙ্গ, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এসনিটিপিসি, বাজাজ ফিন্যান্স ও এইচডিএফসি-র শেয়ারের দাম প্রায় গড়ে ৬ শতাংশ করে পড়ে যায়। গতকালকের ৯৯০২ পয়েন্টে থেকে নিফটি এদিন নেমে যায় ৯,৫৫৪ পয়েন্টে। পরে অবশ্য নিফটি ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৯৮৮২.৭ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়।
শেয়ার বাজারের পরিসংখ্যান
নিফটির অধীনে থাকা পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের সূচক সর্বাধিক ৩.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। নিফটি ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, মিডিয়া, সরকারি ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, ধাতু এবং অটো সূচকের প্রত্যেকটি ১.২ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এদিকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের পতন হয় ১.৫৩ শতাংশ। যার প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজারে।
লকডাউনে বেতন না দেওয়া বেসরকারি সংস্থাগুলির ভবিষ্যৎ কী? নির্দেশিকায় যা জানাল সুপ্রিমকোর্ট