করোনার চতুর্থ ঢেউ মে মাসে বৃদ্ধি পাবে, আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের
করোনা গ্রাফ কিন্তু ক্রমশ নিম্নমুখী। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে, দাপট দেখাতে আসছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। তার ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কানপুরের গবেষকরা। চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হবে। যা ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। এটি জানিয়েছে খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
প্রজেকশনের যুক্ত একজন চিকিৎসক জানান, করোনার সাব ভ্যারিয়েন্ট বি.এ.১ সঙ্গে নিয়ে এসেছিল তৃতীয় তরঙ্গকে। যা গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সময় থেকে শুরু হয়েছিল। যা কিন্তু ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ছিল। বি.এ.২ হাত ধরে আসছে চতুর্থ ঢেউ। পাঞ্জাবে মে মাসের শুরু হবে। তা ক্ষণস্থায়ী হবে জুন মাসের মাঝখান পর্যন্ত। চতুর্থ ঢেউ কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের মতই প্রভাব দেখাবে। কারণ আসন্ন ঢেউ কিন্তু সংক্রমণযোগ্য হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আগের ঢেউতে কিন্তু যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের কিন্তু গলাকে প্রভাবিত করেছে তবে এবার কিন্তু তা ফুসফুসকে প্রভাবিত করবে।
চিকিৎসক আরও জানান, বি.এ.২ সাব ভেরিয়ান্ট যদি ফুসফুসকে বেশি প্রভাবিত করে তাহলে তা ডেল্টা প্রজাতির মতো আশা করা যায়। করোনা দ্বিতীয় ঢেউ বেশি সংক্রমণ যোগ্য হয়েছিল কারণ সেই সময় আমজনতার অনেকেই করোনা ডবল ডোজ টিকা পাননি তাই।
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের একমাস পর ২০ শতাংশের মানুষের ফুসফুসের নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাই আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সেই সঙ্গে থাকতে হবে সতর্ক। কারণ মহামারি কিন্তু এখনও শেষ হয়নি।
সিএমসিএইচের বিশেষজ্ঞ ডঃ ক্লারেন্স স্যামুয়েল জানান, এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এখন করোনা টিকা পান নি। যারা এখনও ভ্যাকসিন পাননি তাদের অবিলম্বে ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার। আর যারা ডবল ডোজ প্রাপ্ত তাঁদের বুস্টার ডোজ নেওয়া দরকার। সেই সঙ্গে প্রত্যেকে নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে। খাওয়া দাওয়া ভালো করতে হবে। তবেই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে উঠবে।
তিনি আরও জানান, করোনা আক্রান্তের রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করা দরকার। যারা এই সিকোয়েন্সে আক্রান্ত হবেন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এমনই সরকারের তরফ থেকে বার বার জানানো হয়েছে।
অপর একজন চিকিৎসক জানান লুধিয়ানা বর্তমানে ১৩০ আক্রান্তে সংখ্যা প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে। পঞ্জাবে দেখা যাচ্ছে প্রতি ১ হাজার আক্রান্তের সংখ্যা।