পরিবর্তনে টার্গেট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী! কনভয়ে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় তির বিজেপির দিকে
পরিবর্তনের ঠেলায় ছাড় পাচ্ছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। এবার ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় অভিযোগের তিন বিজেপির দিকে। বৈঠক সেরে ফিরছিলেন মানিক সরকার, তখনই রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সিপাহিজেলায় ঘটে যায় এই কাণ্ড।
|
মানিকের কনভয়ে হামলা
বিশালগড়ে দলের এক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সিপাহি জেলার রাষ্ট্রমাতায় তাঁর কনভয় পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ভাঙা হয় কনভয়ের অন্য গাড়িও। ছাড় পাননি বরিষ্ঠ নেতা নারায়ণ চৌধুরীও।

ফ্যাসিস্ট হামলা কনভয়ে
২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটার পর রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার পিছনে তাদেরই হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। সিপিএমের পক্ষ থেকে এই হামলাকে ফ্যাসিস্ট বলে বর্ণনা করা হয়েছে। হামলার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আক্রান্ত যাঁরা
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ছাড়াও সেই সময় কনভয়ে উপস্থিত ছিলেন দলের বরিষ্ঠ নেতা নারায়ণ চৌধুরী, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা, বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী, প্রাক্তনমন্ত্রী শাহিদ চৌধুরী। তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ।

ফিরছিলেন বিশালগড় থেকে
বিশালগড় পার্টি অফিসে বৈঠক সেরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সঙ্গেই ফিরছিলেন সিপিএম পার্টির একাধিক শীর্ষ নেতারা। সেইসময় পরিকল্পিতভাবে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রাক্তনমন্ত্রী-বিধায়করা কেউ আঘাতপ্রাপ্ত না হলেও, আহত হন নায়ারণ চৌধুরীর দুই সঙ্গী।

নেপথ্যে বিজেপি
সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই হামলার পিছনে রয়েছে বিজেপি। নভেম্বর বিপ্লবের অনুষ্ঠান নিয়ে সভায় মূল বক্তা ছিলেন মানিক সরকার। সেইসময় হলের সামনে একদল বিদেপি সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। বৈঠকে অংশ নিয়ে আসা সিপিএম সাধারণ কর্মী-সমর্থকদেরও বাধা দেওয়া হয়।