সম্রাট আকবরের স্ত্রী যোধাবাঈ পর্তুগিজ ছিলেন! চাঞ্চল্যকর দাবি বইয়ে
সম্রাট আকবরের স্ত্রী হিসাবে খ্যাত যোধাবাঈ ছিলেন পর্তুগিজ মহিলা। গোয়ার লেখক তথা গবেষক লুইস দে আসিস কোরেইয়া মোঘল আমল নিয়ে নিজের লেখা বইয়ে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।
গোয়া, ৩ এপ্রিল : সম্রাট আকবরের স্ত্রী হিসাবে খ্যাত যোধাবাঈ ছিলেন পর্তুগিজ মহিলা। গোয়ার লেখক তথা গবেষক লুইস দে আসিস কোরেইয়া মোঘল আমল নিয়ে নিজের লেখা বইয়ে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।
তাঁর লেখা বইয়ের নাম 'পর্তুগিজ ইন্ডিয়া অ্যান্ড মোঘল রিলেশনস ১৫১০-১৭৩৫'। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে, যোধাবাঈ একজন পর্তুগিজ ছিলেন। তাঁর আসল নাম ছিল ডোনা মারিয়া মাসকারেনহাস। তিনি পর্তুগিজ আর্মাডার সঙ্গে আরব সাগরে যাত্রা করেছিলেন। তবে তাঁকে ধরে নিয়ে আসা হয়।
১৫০০ শতকের মাঝামাঝি যোধাবাঈ ও তাঁর বোন জুলিয়ানাকে ধরে নিয়ে আসেন গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহ। যুবক সম্রাট আকবরের হাতে ভেট হিসাবে তুলে দেওয়া হয় ডোনাকে। তারপরই তিনি হয়ে যান যোধাবাঈ।
যখন ডোনা মারিয়া মাসকারেনহাসকে আকবরের সামনে এনে হাজির করানো হয়, প্রথম দেখায় তাঁকে ভালোবেসে ফেলেন আকবর। সেইসময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ এবং তিনি বিবাহিত ছিলেন। তখন যোধাবাঈয়ের বয়স ছিল মাত্র ১৭। তাঁকে দেখেই আকবর নিজের করে নেওয়ার কথা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে ডোনা ও জুলিয়ানাকে সম্রাটের হারেমে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও বলা হয়েছে যে, যোধাবাঈ নামের কোনও নারীই নাকি সেসময়ে ছিলেন না। খ্রিস্টান নারী ডোনাকে আকবরের ভালো লাগাও সেসময়ের মোঘল সমাজ পছন্দ করেনি। এমনকী আকবরনামায়ও যোধাবাঈয়ের কোনও উল্লেখ নেই। আকবর যাদের নিকাহ করেছিলেন তাদের মধ্যেও কারও নাম যোধাবাঈ ছিল না। এমনকী আকবরের পুত্র জাহাঙ্গীরও কখনও নিজের মায়ের সম্পর্কে কোথাও কিছু বলেননি। লেখকের মতে, সম্ভবত বিদেশিনী ছিলেন বলেই এমনটা করা হয়েছে।