করোনা ভাইরাসের জের, ৯০ ভারতীয় সহ ডাচ বিমানকে ফেরানো হল দিল্লি থেকে!
ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঞ্জাবে মারা গিয়েছিলেন এক জার্মানি ফেরত বৃদ্ধ। ১৯ মার্চ সেই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিদেশমন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ভারতে আন্তর্জাতিক বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ছিল ২২ মার্চ থেকে। অবশ্য তার আগেই নেদারল্যান্ডস থেকে দিল্লিগামী বিমানকে ফিরিয়ে দেওয়া হল।
ভারতে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে হঠাৎই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে ২৭১ জন এই সংক্রমণে আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন ৫ জন। এই পরিস্থিতিতে ২২ মার্চের আগের থেকেই আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি লক্ষ্য করা গেল। জানা গিয়েছে ফেরত পাঠানো বিমানটিতে ৯০ জন ভারতীয় ছিলেন।
অ্যামস্টারড্যাম থেকে দিল্লিগামী উড়ানকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়
এদিন অ্যামস্টারড্যাম থেকে দিল্লিগামী কেএলএম উড়ানটি দিল্লিতে অবতরণের অনুমতি চাইলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেটিকে ফিরে যেতে বলে। পরে এই কথার সত্যতা স্বীকার করেন অসামরি বিমান পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক। পরে তিনি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়ে জানান, ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয় ১৮ মার্চ থেকেই। আর তাই ডাচ বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ইউরোপে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ইউরোপে। ইতালি ছাড়াও স্পেন, জার্মানি সহ ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভআইরাসের সংক্রমণ। শুক্রবার একদিনে ৬০০-র বেশি মানুষ মারা যায় ইতালিতে। যার জেরে সেদেশএ মৃতের সংখ্যা ৪০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্পেনেও পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেদেশে এখনও ১১০০ জন মারা গিয়েছে। নেদারল্যান্ডসেও মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২ হাজার।
লকডাউন সত্ত্বেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনা
দেশের সব বড় বড় শহরগুলিতে আংশিক লকডাউনের মধ্যেও ক্রমই করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিন্তিত কেন্দ্র। এদিকে খাতায় কলমে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা প্রকাশ পেলেও পরীক্ষআর অভাবে আরও কত করোনা আক্রান্ত যে ধরা পড়ছেন না তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও চিত্র এখনও উঠে আসেনি।
করোনা রুখতে জনতা কার্ফুর ডাক
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু আগেই জানিয়েছিলেন, দেশে ১৫ এপিল পর্যন্ত স্থগিত দেশের সমস্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এদিকে গ্রুব বি ও সি-এর অধীনে কর্মরত অর্ধেক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বাকি অর্ধেক কর্মীতেই চলবে সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এরই মধ্যে রবিবার জনতা কার্ফুর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।