করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে ধাক্কা কর্মসংস্থানে, কাজ হারিয়েছেন বেশি মহিলা এবং যুবারা
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে ধাক্কা কর্মসংস্থানে, কাজ হারিয়েছেন বেশি মহিলা এবং যুবারা
করোনা পরিস্থিতিতে দফায় দফায় লকডাউনে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। কর্মসংস্থানেও প্রবল সংকট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মহিলা এবং যুবাদের কর্মসংস্থানে কোপ পড়েছে। ইপিএফের তথ্যেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৯-র তুলনায় ২০২০ সালে কম ইপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
লকডাউনে অর্থনীতিতে ধাক্কা
করোনা সংক্রমণ গোটা দেশে ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই সংক্রমণ আরও বাড়ছে। প্রবল ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। দফায় দফায় লকডাউনে বন্ধ থেকে দোকান বাজার এবং বেসরকারি দফতর। যার প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই বেড়েছে। লকডাউনের কারণে অনেকের রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মহিলা এবং যুবাদের কর্মসংস্থানে কোপ
নতুন কর্ম সংস্থান তৈরি হওয়া তো দূরের কথা, গত কয়েক মাসে ছাঁটাই বেড়েছে সব কর্মক্ষেত্রে। বিশেষ করে মহিলা এবং যুবাদের কর্ম সংস্থানে কোপ পড়েছে। মহিলা ও যুবারাই বেশি কাজ হারিয়েছেন। বেকারত্বের হারে তাঁদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
ইপিএফের পরিসংখ্যানে তথ্য
ইপিএফের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে কঠিন বাস্তবের ছবি। ২০১৯ সালে যেখানে ১৫.৫ শতাংশ নতুন ইপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। সেই সংখ্যা এবার নেই বললেই চলে। বছরের প্রথম ভাগেই ১.২৬ শতাংশ পড়েছে ইপিএফ অ্যাকাউন্টের রেজিস্ট্রেশন। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে সবচেয়ে বেশি কোপ পড়েছে কাদের উপর।
মহিলারাই বেশি কাজ হারিয়েছেন
করোনা পরিস্থিতির গত ৫ মাসে মহিলা কর্মীরা বেশি ছাঁটাই হয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে সেই পরিসংখ্যানই উঠে এসেছে ইপিএফ রেজিস্ট্রেশনের সার্ভেেত। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে সেই পরিসংখ্যান আরও কমেছে।