করোনা উদ্বেগের জের! বিদেশ থেকে ভারতে আসতে বাধ্যতামূলক এই রিপোর্ট, অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা
কখনও বাড়ছে উদ্বেগ, তো কখনও খানিক পারাপতন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে মোট সংক্রমণে। এদিকে করোনাকালের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি বিদেশি যাত্রী ও প্রবাসীদের জন্য বারেবারেই কোভিড বিধি বদলেছে একাধিক দেশ। এবার সেই রাস্তায় হাঁটল ভারতও। এথন থেকে ভারতে আসা সমস্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার (আরটি-পিসিআর) নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। নয়া নির্দেশিকায় এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্র সরকার।
বুধবার আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিয়ে এমনই নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলে ছাড় মিলবে আইসোলেশনে। আরও সহজ ভাবে বললে তাদের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই করোনা পরীক্ষা কিংবা আইসোলেশনের প্রয়োজন পড়বে কিনা তা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে কোনও যাত্রী যদি সম্পূর্ণ ডোজ না নেওয়া বা একেবারেই টিকা না নেওয়া থাকে সেক্ষেত্রে তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
২৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি বৈধ থাকবে। তবে প্রতি যাত্রী রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করতে একটি সেলফ ডিক্ল্যারেশন ফর্ম জমা দেবেন বলেও কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। রিপোর্ট ভুয়ো হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে নির্দিষ্ট যাত্রীর বিরুদ্ধে। এর জন্য ভ্রমণ শুরু আগে আগে অনলাইন 'এয়ার সুবিধা পোর্টালে' (www.newdelhiairport.in) সেলফ ডিক্ল্যারেশন ফর্ম জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে।
এরপর 'এয়ার সুবিধা পোর্টালেই' ওই যাত্রীর নেগেটিভ কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট আপলোড করতে হবে। যাত্রা শুরু ৭২ ঘণ্টা আগে করতে হবে এই টেস্ট। তার আগে বা পরে করলে ওই রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করলে তবেই কোনও যাত্রীকে বিমানে বোর্ডিংয়ের অনুমোদন দেবে উড়ান সংস্থা।
এদিকে বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য বেড়ি চাইছে সরকার। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১৪ হাজার ৬২৩। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৯৭ জনের। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৫১।