২১ দিনের লকডাউনের প্রভাবে ভারতে গতি কমছে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ডের
২১ দিনের লকডাউনের প্রভাবে ভারতে গতি কমছে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ডের
এটা প্রত্যাশিত ছিল। মহামারি করোনা ভাইরাস বা কোভিড–১৯–এর জেরে ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন গৃহবন্দী এবং অধিকাংশই বাড়ি থেকে অফিসের কাজ সারছেন। যার ফলে ভারতে মোবাইল ইন্টারনেট ও বাড়ির ব্রডব্যান্ড যোগাযোগের স্পিডের অনেকটাই পতন ঘটেছে।
জানুয়ারি মাস থেকে ডাউনলোডের গতি কমেছে
ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল সূচক ডাটা জানিয়েছে যে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের অর্থ ভারতে ডাউনলোড স্পিড ফেব্রুয়ারিতে ৩৯.৬৫ এমবিপিএস থেকে হ্রাস পেয়ে মার্চে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫.৯৮ এমবিপিএস। এর অর্থ হল মোবাইল ইন্টারনেট ডাউনলোডের গতি কমে গিয়েছে ১.৬৮ এমবিপিএস। ভারতের মোবাইল নেটওয়ার্কগুলি ফেব্রুয়ারিতে ১১.৮৩ এমবিপিএস থেকে মার্চ মাসে ১৫ এমবিপিএসের গড় গতির পতন হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেটের পাশাপাশি ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের গতিও এ বছরের জানুয়ারি থেকে ক্রমশঃ হ্রাস পেতে শুরু করেছে, যা মোটেও ভালো খবর নয়। ওকলা বলেছে, ‘এর অর্থ হল ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের গতি ভারতে ২০২০ সালের শুরুর দিক থেকে হ্রাস পেতে শুরু করে, জানুয়ারিতে ৪১.৪৮ এমবিপিএস থেকে হ্রাস পেয়ে মার্চে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫.৯৮ এমবিপিএস, প্রায় ৫.৫ এমবিপিএস কমেছে বলে জানা গিয়েছে।'
চাপে রয়েছে নেটওয়ার্ক
ওকলার সিইও ডগ স্টলস বলেন, ‘ভারতে কোভিড-১৯-এর জেরে লকডাউনের জন্য নেটওয়ার্কগুলি এখন বেশ চাপে রয়েছে তাই প্রত্যাশামতো ইন্টারনেট ব্যবহারে মন্দাভাব দেখা দেবেই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ইন্টারনেট নিজেই একটি উন্নত ব্যবহার হিসাবে যেখানে পরিচিত, সেখানে মানুষ অনলাইনে নিজেদের ক্রিয়াকলাপ বাড়িয়ে দিয়েছে যার প্রভাব পড়ছে ইন্টারনেটে। ইন্টারনেটের মূল স্থিতিশীল থাকলেও কিছু আইএসপি নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।'
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্পিডে পিছিয়ে ভারত
একই সময়ে দাঁড়িয়েছে সংযুক্ত আরবে দ্রুত মোবাইল ডেটা স্পিড দেওয়া হচ্ছে, প্রায় ৮৩.৫২ এমবিপিএস, দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ৮১.৩৯ এমবিপিএস ও তৃতীয় নম্বরে রয়েছে কাতার, ৭৮.৩৮ এমবিপিএস। ভারতের স্থান সেখানে ১৩০ নম্বরে, যেখানে ১০.১৫ এমবিপিএস স্পিডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফ্রিক্সড ব্রডব্যান্ডে আবার এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর, ১৯৭.২৬ এমবিপিএস, দ্বিতীয় হংকং, ১৬৮.৯৯ এমবিপিএস ও তৃতীয় নম্বরে রোম, ১৫১.৫৫ এমবিপিএস। সেখানে ভারতের স্থান ৭১ নম্বরে রয়েছে, ৩৫.৯৮ এমবিপিএস সহ।
ভারতে লকডাউন চলছে তাই সবাই বাড়িতে
ভারতে বাড়িতে বসে কাজের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে মোবাইল পরিষেবার পাশাপাশি ফ্রিক্সড লাইন ব্রডব্যান্ড পরিকাঠামোতেও অবিশ্বাস্য চাপ বেড়ে গিয়েছে। আবাসনস্থানগুলিতে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেকসময়ই দেরি করে ডাউনলোড হচ্ছে বা মেসেজ দেরি করে পৌঁছাচ্ছে। নেটওয়ার্কের ওপরও চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।