
ফিল্মি কায়দায় জঙ্গি হামলার মাঝে বাস চালিয়ে যাত্রীদের বাঁচালেন চালক, জানুন কীভাবে
সোমবার রাতে অনন্তনাগে জঙ্গি হামলার মাঝে পড়ে পুণ্যার্থীদের একটি বাস। সেই হামলায় ৭ জন তীর্থযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই মহিলা। রাতের অন্ধকারে পুলিশের উপরে জঙ্গিরা হামলা চালায়, তার মাঝে তীর্থযাত্রীদের বাস এসে পড়ায় এতজন প্রাণ হারিয়েছেন।[আরও পড়ুন:সন্ত্রাসের আতঙ্ক কাটিয়ে অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা, দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক]
এই হামলার মাঝে পড়া বাসটি গুজরাত থেকে এসেছিল। গুজরাত ছাড়াও মহারাষ্ট্রের বেশি কিছু বাসিন্দা তীর্থযাত্রী হিসাবে বাসের মধ্যে ছিলেন। আচমকা অনন্তনাগে হামলার মাঝে পড়ে বাসটি। দুদিক থেকে গুলিবৃষ্টি চলে অন্তত দেড় মিনিট ধরে।[আরও পড়ুন:নিয়ম না মেনেই জঙ্গি হামলার মধ্যে পড়ল অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের বাস জানুন কী হয়েছিল]

বাসে সবমিলিয়ে মোট ৫৭ জন ছিলেন। ৭ জন মারা গেলেও বাকীদের জীবন বেঁচে গিয়েছে। সৌজন্যে অসীম সাহসী বাসের চালক সেলিম। গুজরাতের বাসিন্দা সেলিম রাতের অন্ধকারে গুলিবৃষ্টির মাঝেও ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১ কিলোমিটার দূরে গিয়ে তবে বাস থামান।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত বাসযাত্রীদের একজন ভাগ্য মনি জানিয়েছেন, বাসে সবদিক থেকে গুলি বৃষ্টি হচ্ছিল। চালক বাস থামায়নি। অন্তত এক কিলোমিটার দূরে জঙ্গিমুক্ত এলাকায় নিয়ে তবে বাস থামায়।
পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা গোষ্ঠীর জঙ্গিরা এই হামলার পিছনে রয়েছে। এদিকে জঙ্গি আক্রমণের মাঝে পড়েও সাহসের সঙ্গে বাস চালানো সেলিমের ভাইপো জাভেদ মির্জা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে নটা নাগাদ তাঁর ফোনে সেলিম জানান জঙ্গি আক্রমণের কথা।
শুধু তাই নয়, ফোনে ভাইপোকে সেলিম জানিয়েছেন, কীভাবে গুলিবৃষ্টির মাঝেও বাস চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যাতে তীর্থযাত্রীরা নিরাপদ স্থানে পৌঁছতে পারেন। জাভেদ গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন, ৭ জনের প্রাণ গেলেও বাকী ৫০ জনের প্রাণ সেলিম বাঁচিয়েছেন। পরিবারের সকলে তাঁকে নিয়ে গর্ব অনুভব করছেন।