সিবিআই তদন্ত প্রভাবিত করছে কেন্দ্র, কালো চাদরে বিক্ষোভ তৃণমূলের
নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর : সারদাকাণ্ডে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রর গ্রেফতারির পর তৃণমূল-বিজেপির বিরোধিতা যেন ক্রমেই ঘণীভূত হচ্ছে। সোমবার সংসদের বাইরে কালো সালে নিজেদের মুড়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার সারদা কাণ্ডে সিবিআই-এর তদন্ত প্রভাবিত করছে।
সংসদে দুই কক্ষেই তৃণমূলের তরফে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। সাংসদ সৌগত রায় ও ডেরেক ও'ব্রায়েন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে রাজনৈতিক গৃহবিবাদ বয়ে বেড়ানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন রাজ্যসভায় অভিযোগ তোলেন, "বিজেপি সভাপতি (অমিত শাহ) সিবিআইকে চিত্রনাট্য লিখে দিচ্ছেন। রাজনৈতির স্বার্থ চরিতার্থ করতে সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।"
তৃণমূলের কিছু সাংসদ দলনেত্রীর দেখানো পথেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সাহারা কর্তা সুব্রত রায়ের হাত মেলানোর ছবি প্রদর্শন করে অভিযোগ তোলেন, সুব্রত রায়ের কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে, যাতে তাঁর যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের বিরবরণ রয়েছে। তাতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নামও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
শনিবার ঠিক যে যুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক একই কথা এদিন শোনা গেল দিদি-র যোগ্য ভাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। কল্যাণ বলেন, "কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা হচ্ছে না, ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সুব্রত রায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ঘণিষ্ঠতা রয়েছে।"
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তৃণমূলকে পাল্টা জবাব দেন। তিনি বলেন, সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। তদন্তদের যাবতীয় রিপোর্ট সিবিআই শীর্ষ আদালতের কাছেই জমা দিচ্ছে, এর সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্কও নেই।
কলকাতায় আজ ফের তৃণমূল প্রতিবাদ মিছিল করতে পারে বলে সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে।