বিমানেও মাস্ক পরতেই হবে! না মানলে যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
নতুন করে বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় বিমানবন্দরে তো বটেই, বিমানেও মাস্ক পরতেই হবে। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সংশ্লিষ্ট যাত্রী যিনি এই নিয়ম মানবেন না তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা পর্যন্ত গুনতে হবে। এমনটাই নি
নতুন করে বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় বিমানবন্দরে তো বটেই, বিমানেও মাস্ক পরতেই হবে। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সংশ্লিষ্ট যাত্রী যিনি এই নিয়ম মানবেন না তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা পর্যন্ত গুনতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের। ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারপতি (এসিজে) ভিপিন সিঙ্ঘি'র এজলাসে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়।
সেখানেই এহেন নির্দেশ হাইকোর্টে । শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে মাস্ক না পড়তে যাওয়া যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া যাবে বলে জানাল দিল্লি হাইকোর্ট।
বলে রাখা প্রয়োজন, কয়েক দেশে নতুন করে সংক্রমণ ভয় ধরাচ্ছে। হঠাত করেই বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। শুধু বিশ্বেই নয়, ভারতেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ ভারতে সংক্রমিত হয়েছে। মুম্বই সহ কয়েকটি রাজ্য নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ চিকিৎসকদের। এই অবস্থায় এহেন রায় করোনা বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে যুগান্তকারী বলছেন আইনজীবীদের একাংশ। এমনকি ডাক্তাররাও দিল্লি হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানায়।
দ্রুত এহেন নির্দেশ কার্যকর করার জন্যে বলাও আদালতের তরফে। DGCA-কে ইতিমধ্যে এই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে তো বটেই, বিমানের মধ্যেও কড়া ভাবে কোভিড বিধি মানতেই হবে। যে যাত্রী এই নির্দেশ মানবে না তাঁকে জোর করে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও DGCA-কে নজরে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে বিমানে কোন সময়ে মাস্ক খোলা যাবে সেটিও আদালত জানিয়ে দিয়েছে। আদালত নির্দেশেকাতে জানিয়েছে, খাবার খাওয়ার সময়েই একমাত্র মাস্ক নামানো যাবে।
অন্যদিকে হাইকোর্ট DGCA-কে আরও বেশ কয়েকটি স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছে। যেখানে বিমান সংস্থার চালক, বিমানসেবিকা-সহ কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করার কথা বলা হয়েছে। কড়া ভাবেযাতে কোভিড বিধি পালন করা হয় সেই লক্ষ্যেই এহেন নির্দেশ হাইকোর্টের।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের কোভিড গ্রাফ চিন্তা ধরাচ্ছে দেশবাসীর। একদিনে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৩৬৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। আকান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪১ জন।
অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে আজ, শুক্রবার হয়েছে ২১ হাজার ১৭৭ জন। গতকাল, বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা ছিল ১৯ হাজার ৫০৯ জন। ২৪ ঘন্টায় করোনা কেস ১ হাজার ৬৬৮ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট সংক্রমণ ০.০৫ শতাংশ অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে।