করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সভা-ব়্যালি, প্রচারে মাস্ক পরা নিয়ে কেন্দ্র-কমিশনকে নির্দেশ আদালতের
রাজ্যে নির্বাচনী উত্তাপ যত বাড়ছে, ততই দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এই আবহে দেশের চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলছে বিধানসভা নির্বাচন৷ এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারগুলিতে করোনা বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে৷ এবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জবাব চাইল দিল্লি হাই কোর্ট৷
মাস্ক পরছে না কেউই
এর আগে দেখা গিয়েছে, প্রচারে না নেতা মন্ত্রীরা মাস্ক পরছেন। না সভায় যোগ দিতে আসা সেই দলের সমর্থকা। এহেন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশ দক্ষিণী রাজ্যগুলিতেও করোনা বেড়েছে। রাজ্যেও সংক্রমণ চিন্তা বাড়িয়েছে সবার। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির উচ্চ আদালতের তরফে কেন্দ্র ও কমিশনকে জানানো হয়েছে যে নির্বাচনী প্রচারে যাতে সবাই মাস্ক ব্যবহার করে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে৷
দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা
এই নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের প্রাক্তন ডিজি বিক্রম সিং৷ সেন্টার ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড সিস্টেমেটিক চেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন৷ তাঁর করা মামলার শুনানি হয় দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি জশমীত সিংয়ের বেঞ্চে৷ সেই শুনানিতেই কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে এই নোটিস দেওয়া হয়৷
নির্বাচনী প্রচারে নিয়ম কেন মানা হবে না?
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ছিলেন বিরাগ গুপ্তা৷ তিনি বেঞ্চকে জানান যে নির্বাচনী প্রচারে মাস্কের ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্ব বিধি যাতে মেনে চলা হয়, সেই বিষয়ে ডিজিটাল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷ পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, যখন সব কর্তৃপক্ষই মাস্ক পরার বিষয়ে একমত, তখন নির্বাচনী প্রচারে সেই নিয়ম কেন মানা হবে না?
বিধি ভঙ্গকারীদের প্রচারে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন
মামলাকারীর তরফে মূল যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ যাঁরা নির্বাচনী প্রচারে বারবার ভাঙছেন, তাঁদের প্রচার থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক৷ এই নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে৷ ততদিনে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়ে যাবে।